ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহিদুল্লাহ হলের সামনে দফায় দফায় ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ১২ জনের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ছয়জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে হাসপাতালটিতে ছয়জন ভর্তি রয়েছেন।
এদের মধ্যে চারজন আন্দোলনকারী বাকি দুজন ছাত্রলীগের সদস্য বলে জানা গেছে। তবে এদের সবার শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা মেডিকেলের নিউরোসার্জারির ২০০ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন আন্দোলনকারী তিনজন ও ছাত্রলীগের এক সদস্য। আর ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক নারী শিক্ষার্থী ও ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের ভর্তি রয়েছেন ছাত্রলীগের আরেকজন সদস্য।
এদিকে ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ইডেন কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আহত সাবিলা সাদরিন আজাদ বলেন, ভিসি চত্বরের পাশে আন্দোলনকারী আমার এক বোনকে বাঁচাতে গিয়ে আমার মাথায় এসে পরপর দুইটা বাঁশের আঘাত লাগে। আমি দাঁড়াতে পারছিলাম না। পরে দুই ব্যক্তি আমাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন।
তিনি বলেন, শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা নয়, কোনো জায়গাতেই এমন বর্বর হামলা কাম্য নয়। আমরাতো ওখানে মারামারি করতে যাইনি। আমরা সবাই নিরস্ত্র ছিলাম, ওরাই এসে আক্রমণ করেছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, সোমবারের সংঘর্ষের ঘটনায় হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ছয়জন চিকিৎসাধীন। বাকি ছয়জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যারা ভর্তি আছেন তারা সবাই শঙ্কা মুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৪
এজেডএস/আরআইএস