ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দিনাজপুরের নাশকতার ঘটনায় মোট সাতটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় ১১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত এক হাজার ৮২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে এসব মামলায় গ্রেপ্তার ১০ জনকে আদালতে সোপর্দ করেছে কোতয়ালি থানা পুলিশ।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচিসহ এ পর্যন্ত মোট ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে ভুগছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
গ্রেপ্তাররা হলেন - চিরিরবন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফারুক রানা (৪২), একই থানার বিএনপির সদস্য শহিদুল ইসলাম রাজন (৪৫) বায়তুলমাল জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশের কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ ওরফে হাবিব (৩৩), দিনাজপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লাহ (৫৪), জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ সোলায়মান মোল্লা ওরফে চ্যাম্পিয়ন, শহরের বালুয়াডাঙ্গা এলাকার ইয়াছিন আলীর ছেলে আরাফাত সানি সজীব (২০), চিরিরবন্দর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান (২৫), একই থানার ছাত্রদলের সদস্য মোছাদ্দেক হোসেন (১৯), শহরের বালুবাড়ি এলাকার শরিফুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল ইসলাম বাপ্পি (৩৪) ও শহরের চাউলিয়াপট্টি এলাকার শাহাজাহান আলীর ছেলে রাকিব হাসান (২৪) ।
নাশকতার ঘটনায় মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছেন বিএনপি ও তার সহযোগী দলের নেতাকর্মীরা। গ্রেপ্তার হয়েছেন অনেকেই। শহরের জেল রোডস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয় বন্ধ পাওয়া গেছে।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে দিনাজপুরে আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুরসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও শিবিরের নেতাকর্মীরা। জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৪
এমএস/এসএএইচ