ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে বিচারের আওতায় আনা হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৪
অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে বিচারের আওতায় আনা হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বক্তব্য দিচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক

মাদারীপুর: সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার দাবি আন্দোলন ঘিরে সহিংস তাণ্ডব চালানো অপরাধীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।  

তিনি বলেন, সংযুক্ত আবর আমিরাতে সম্প্রতি কোটা পদ্ধতি সংস্কার দাবিতে আন্দোলনের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাক্ষ্যপ্রমাণ নিয়ে যেভাবে তাৎক্ষণিক বিচার হয়েছে, ঠিক বাংলাদেশেও এমন অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে বিচারের আওতায় আনা হবে।

সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইলে ধারণ করা ভিডিওতে সহিংস তাণ্ডব চালানো সন্ত্রাসীদের চেহারা ধরা পড়েছে।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে মাদারীপুরের খাগদী এলাকায় নাশকতাকারীদের দেওয়া আগুনে সংসদ সদস্য শাজাহান খানের মালিকানাধীন পুড়ে যাওয়া বিলাসবহুল বাস ও তেলের পাম্প পরির্দশন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

এ সময় মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মধ্যে জঙ্গি কোথায় লুকিয়ে আছে, সেটা বলা যায় না। দৃশ্যমান জঙ্গি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। গর্তের মধ্যে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের বিদেশি মদদদাতা, বিদেশি প্রভুদের মদদে যে ধ্বংসযজ্ঞ হয়, সেগুলো একবারে নির্মূল করা সম্ভব হয় না। ভালো মানুষরা ভালো চিন্তা করে। আর খারাপ মানুষের চিন্তা মন্দ হয়।

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আরও বলেন, বিগত দিনে জামায়াত-শিবিরের আন্দোলন যেভাবে শ্রমিক নেতা শাজাহান খান এমপি প্রতিহত করেছেন। সেই ক্ষোভেই তার মালিকানাধীন যানবাহন ও তেলের পাম্প পুড়িয়ে দিয়েছে, ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতিকারীরা। যে যানবাহনে সাধারণ জনগণ চলাচল করে, এগুলো স্বাভাবিক মানুষ কখনই ক্ষতি করতে পারে না। এটা প্রতিহিংসার জের, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যেভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের সঙ্গে এদেশের দোসর রাজাকার, আলবদর, জামায়াত-শিবির তাণ্ডব চালিয়েছে, ঠিক তেমনি কোটা আন্দোলন ঘিরে যে ঘটনা, ১৯৭১ সালের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে। এই হামলাকারীরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে জেলার রাজৈরের টেকেরহাটে বিএনপি-জামায়াত ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের অগ্নিসন্ত্রাস নৈরাজ্য ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।  

এ সময় তিনি বলেন, জামায়াত-বিএনপির শিবির ছাত্রদল স্বাধীনতা বিরোধীরা এত শক্তি কোথা থেকে পেল। এটা আমাদের খুঁজে দেখতে হবে। যেখান থেকেই হোক, যত বড় শক্তিশালী হোক, আইনের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। গত এক সপ্তাহ আগে আপনারা দেখেছেন, আন্দোলন চলাকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৬০ জনের মতো বাঙালি মিছিল করেছিলেন, তাদের ২৪ ঘণ্টা মধ্যে ধরে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা যদি পারে, আমরা কেন পারব না। বাংলাদেশ কি এতই দুর্বল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কি এতই দুর্বল হয়ে গেছে যে এই সমস্ত দেশদ্রোহীদের শাস্তি দিতে পারবে না। আমরা দাবি করব, তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিশেষ আদালতের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।  

মন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসিবুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান, মাদারীপুরের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি হাফিজুর রহমান যাচ্চু খান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহজাহান হাওলাদারসহ অনেকেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।