বরিশাল: সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও লাঞ্ছনার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশালের সমন্বায়করা।
রোববার (৪ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তারা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশালের কর্মসূচি কভারেজ করতে আসা অনেক সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বরিশালের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি।
আমরা বিশ্বাস করি আমাদের কোনো শিক্ষার্থী আপনাদের ওপর হামলা করেনি। আমাদের আন্দোলনকে পণ্ড করার জন্য কিছু কুচক্রী মহল এমন কাজ করেছে। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে রয়েছি এবং আগামী কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো এবং পরবর্তীতে যারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করবে তাদের সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিহত করবে।
একই সঙ্গে রোববার শহরের বিভিন্ন জায়গায় কিছু ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। যার সঙ্গে সাধারণ মানুষ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বরিশাল সম্পৃক্ত নয়৷ আমাদের আন্দোলনকে পণ্ড করার জন্য কুচক্রী মহল এমন কাজগুলো করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাধারণ জনগণকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছে।
উল্লেখ্য, রোববার সকাল থেকে দিনব্যাপি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশালের কর্মসূচি কভারেজ করতে গিয়ে সাংবাদিকরা হেনস্থার শিকার হন। অনেককে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। সেইসঙ্গে কর্মসূচির ছবি তুলতে গেলে কিংবা ভিডিও ধারণ করতে গেল বাধা প্রদানের পাশাপাশি মোবাইল নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
এদিকে আন্দোলনকে ঘিরে দিনভর উত্তপ্ত থাকে বরিশাল নগর। নগরের গোরস্তান রোডে ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর কার্যালয়, পুলিশ বক্স, সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ ও দুদক কার্যালয়েও হামলা চালানো হয়। সেইসঙ্গে কমপক্ষে ৩০টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, দুটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর ও একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এমনকি রাত সাড়ে ১০টার দিকেও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের আমতলার মোড়সহ বিভিন্ন মোড় দিয়ে চলাচলকারী ব্যক্তিদেরও পরিচয় দেওয়া নিয়ে বিক্ষোভকারীদের রোশানলে পড়তে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২৪
এমএস/এসএম