মাগুরা: মাগুরায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের পর থেকে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে সর্বত্র।
সোমবার (০৫ আগস্ট) শহরের কোথাও পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি।
শহরের ভায়না মোড় এলাকায় দত্ত ফিলিং স্টেশনে ব্যাপক অগ্নি সংযোগের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আগুন জ্বলছে। তেলের ডিপো প্রচণ্ড গরম হয়ে রয়েছে। ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে ডিপোটে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার লিটার তেল রয়েছে। গতকাল আন্দোলকারীরা হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্টেশনে থাকা সব মালামাল নষ্ট ও আগুনে পুড়ে গেছে।
শুধু ফিলিং স্টেশন নয় সড়কে থাকা মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, পুলিশ বক্স, আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে আন্দোলকারীরা। ভায়না মোড়ে এখনো পুড়ে যাওয়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল রয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে কিংবা সড়কে পুলিশের কোনো উপস্থিতি নেই। ট্রাফিক পুলিশও সড়কে দায়িত্ব পালন করছে না।
আন্দোলনে নিহতরা হলেন- জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী (২৮), মহম্মদপুরের বালিদিয়া গ্রামে কালু মিয়ার ছেলে মো. সুমন শেখ (২৮), শ্রীপুর উপজেলার রায়নগর গ্রামে মস্তোফার ছেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ইতিহাস বিভাগের ছাত্র মো. ফরহাদ হোসেন (২৫) ও মহম্মদপুর উপজেলা সদরের ইউনুস আলীর ছেলে আহাদ হোসেন (১৮)।
মাগুরা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মেহেদি রাসেল বলেন, অন্যান্য দিনে সকাল ৮টা থেকে ডিউটি শুরু হলেও আজ ৯টা থেকে পুলিশের ডিউটি শুরু হয়েছে। তাছাড়া তিনি আরও বলেন, সহিংসতা প্রতিরোধে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
আফজাল হোসেন নামে এক ইজিবাইক চালক বলেন, গতকাল সকাল থেকে শহরের ভায়না মোড়, ঢাকা রোড, নবগঙ্গা নদীর ব্রিজ এলাকায় পারনান্দুয়ালী যশোর রোডসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালিয়ে অগ্নি সংযোগ করে।
মাগুরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষে জেলায় মোট ২৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। বর্তমান পুলিশ লাইন্সে তাদের চিকিৎসা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২৪
আরএ