ঢাকা, রবিবার, ১৬ ভাদ্র ১৪৩১, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

কোতোয়ালি মডেল থানায় ভাঙচুর করার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৪
কোতোয়ালি মডেল থানায় ভাঙচুর করার অভিযোগ

বরিশাল: বন্ধুদের রক্ষায় পুলিশ এগিয়ে না আসায় বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানায় ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

কোতয়ালি মডেল থানার এএসআই সানোয়ার হোসেন জানান, সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ২৫/৩০ জনের একটি কিশোর দল উত্তেজিত হয়ে থানায় প্রবেশ করে। তাদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানালেও তারা থানার মধ্যে একটি পিকআপের গ্লাস ও পুলিশের সরকারি মোটর সাইকেলের গ্লাস ভাঙচুর করে। পরে তারা থানার অভ্যর্থনা কক্ষের সোফা এবং টেবিল ভাংচুরের চেষ্টা করে। এ সময় তারা চিৎকার চেচামেচি করে পুলিশদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। খবর পেয়ে সেনা বাহিনী এবং ওসি এসে তাদের শান্ত করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করে কিছু উঠতি বয়সী তরুণ ছেলেপেলে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে কোতয়ালি মডেল থানার দিকে যায়। এসময় লাইন রোড দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এসে তাদের শান্ত করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা রাসেল বলেন, কিশোরদের আচরণ খুবই উচ্ছৃঙ্খল ছিলো।

ঘটনাস্থলে গিয়ে ফেরত আসা চিত্র সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, থানায় হামলার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গেলে ওই তরুণদের আচরণ দেখে সবাই চলে আসে। কারণ তারা সমানে সবাইকেল গালিগালাজ করার পাশাপাশি বিভিন্ন জিনিস ভাঙছিল। আর কোন ধরনের ছবিও তুলতে দিচ্ছিল না।

থানার অভ্যর্থনা কক্ষে বসে থাকা সিফাত নামে একজন জানান, তারা বরিশাল সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। কিছুদিন পূর্বে নগরের ফকির বাড়ি রোডের রাখাল বাবু পুকুরের পাড় এলাকার হৃদয়, সানমুন, আনজামদের সঙ্গে তাদের বিরোধ হয়। গত বৃহস্পতিবার তাদের একজনকে পেয়ে চড় দিয়েছিলো। বিষয়টি সমাধান করতে তারা রাখাল বাবু পুকুরের পাড় এলাকায় আসেন। এ সময় তাদের দুই বন্ধুকে কোপানো হলে তারা পুলিশের কাছে সহায়তা চায়। কিন্তু তারা না এসে সেনাবাহিনীকে খবর দিতে বলেন। তাই বিচার চাইতে থানায় এসেছেন।

আরা থানায় কোনো ভাঙচুর করা হয়নি দাবি করে সিফাত জানান, উত্তেজিত কয়েকজন বেল্ট দিয়ে টেবিলে জোরে জোরে আঘাত করেছেন।

এ বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কিছু ছাত্ররা এসেছিল। তাদের কথা আমরা বুঝতে পারিনি। তাই তারা উত্তেজিত হয়ে থানার কয়েকটি ফুলের টব ও থানার সামনে থাকা ব্যক্তিমালিকানাধীন গাড়ি ভাঙচুর করেছে।

তিনি আরো জানান, পরে জেনেছি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শহিদ আরজু মনি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিলো। বিষয়টি সমঝোতা করার চেষ্টা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৪
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।