ঢাকা, সোমবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩১, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

কারাগার থেকে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪
কারাগার থেকে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার এমদাদুল হক ওরফে গন্ডার: ফাইল ফটো

ঢাকা: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৬ আগস্ট গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলায়ন করা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এমদাদুল হক ওরফে গন্ডারকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ভোরে রাজধানীর বংশাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি বলেন, কারাগার থেকে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এমদাদুল হক ওরফে গন্ডারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।  

জানা গেছে, শত্রুতার জের ধরে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই বেলা ১১টার দিকে জহুরুল ইসলাম বাবুকে মিরপুরের মধ্য মনিপুর এলাকার বাসা থেকে ডেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের ভাই কাজী তাজুল ইসলাম মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন।  

মামলার প্রেক্ষিতে আসামি এমদাদুল হক ওরফে গন্ডার এমদাদুলের দুই ভাই শহিদুল্লাহ ও মনির এবং তাদের সহযোগী আজাদুলকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অপর আসামি শহীদুল্লাহ পলাতক রয়েছেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেন মিরপুর মডেল থানার এসআই ইমানুর হোসেন।

এরপর আদালত চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ১৫ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১৩ জনের সাক্ষ্য নেন।

২০২২ সালের ৩০ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মো. নজরুল ইসলাম রাজধানীর মিরপুরে স্টেশনারি দোকানি কাজী জহুরুল ইসলাম বাবুকে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।  

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন এমদাদুল হক ওরফে গন্ডার। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন এমদাদুলের দুই ভাই শহিদুল্লাহ ও মনির এবং তাদের সহযোগী আজাদুল। আসামি শহীদুল্লাহ পলাতক রয়েছেন। তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর এ দণ্ড কার্যকর হবে বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪
এসজেএ//এমএমআই/জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।