ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বসতি ভেঙে যাচ্ছে খালে, ভাঙন রোধের দাবিতে মানববন্ধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
বসতি ভেঙে যাচ্ছে খালে, ভাঙন রোধের দাবিতে মানববন্ধন

লক্ষ্মীপুর: চলমান বন্যায় তীব্র পানির স্রোত দেখা দিয়েছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ওয়াপদা খালে। এতে খালের পাশে থাকা বসত-বাড়িতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

ঝুঁকিতে আছে খাল পাড়ের বাসিন্দারা।

ভাঙন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মানববন্ধন করেছে উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আমিন বাজার এলাকার বাসিন্দারা।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ওই এলাকার কোব্বাত খাঁন পাঠান বাড়ির শতাধিক বাসিন্দা খালপাড়ে দাঁড়িয়ে এ মানববন্ধন পালন করেন।

মানববন্ধনের অংশ নেওয়া হারুনুর রশিদ খাঁন, মো. জামাল উদ্দিন, মোসলেহ উদ্দিন খাঁন ও সিরাজ উদ্দিন খাঁন বলেন, প্রায় ৫০ বছর আগে আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে ওয়াপদা খাল কাটা হয়। খালের দক্ষিণ পাশে বেড়িবাঁধ, উত্তর পাশে আমাদের বাড়ি। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে খালে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আমাদের জমি ভেঙে খাল প্রশস্ত হয়ে গেছে। একশ ফুট প্রস্থের খাল এখন ৫০০ ফুট হয়েছে। প্রতি বর্ষা মৌসুমে বসতবাড়ির বাগান, ফসলি জমি খালে ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এবারের বন্যায় খালে তীব্র স্রোত থাকায় ভাঙন আরও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এতে কোব্বাত খাঁন পাঠান বাড়ির অন্তত ৫০ পরিবার ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।

তারা আরও বলেন, আমরা আমাদের জমির খাজনা পরিশোধ করে আসছি। কিন্তু জমি খালের মাঝখানে। বিভিন্ন সময়ে আমরা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি। তাই আমাদের ভিটেমাটি রক্ষায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। ব্লক বসিয়ে বাঁধ নির্মাণ করলে ভাঙনরোধ সম্ভব বলে জানান তারা।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য জিল্লুর রহিম বলেন, খালের মধ্যে থেকে আওয়ামী লীগের নেতারা গত কয়েক বছর ধরে বালু উত্তোলন করেছে। ফলে এ এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। এছাড়া খালের উত্তর পাশে ভাঙন দেখা দিলেও দক্ষিণ পাশে একটি চর পড়েছে। ওই চরটি খনন করলেও ভাঙন কিছুটা কমবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।