ঢাকা, রবিবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পাহাড়ে সহিংসতার তদন্তের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পাহাড়ে সহিংসতার তদন্তের দাবি

ঢাকা: সম্প্রতি খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও স্বনির্ভর এলাকায় এবং রাঙামাটি শহরে সহিংসতার তদন্ত জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ও অংশগ্রহণে করার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের স্বজন ও ভুক্তভোগীরা। পাশাপাশি এসব ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান তারা।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয়প্রেস ক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে আয়োজিত ‌সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পাহাড়ে সহিংসতায় আহত কুকুমনি চাকমা। তিনি বলেন, ৪৮ ঘণ্টা ধরে চলা এই বর্বরোচিত হামলায় চারজন নিহত ও শতাধিক আহত হন, যারা সবাই পাহাড়ি। সংজ্ঞাহীন গুরুতর আহত দুইজন চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন। দীঘিনালায় ১০৫টি দোকান ও রাঙামাটিতে ছোট-বড় অন্তত ১০০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনার পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা রাঙামাটি সফর করেন। অন্যদিকে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম দীঘিনালায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় জনগণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট ৫ দফা দাবিও জানান তারা।

দাবিগুলো হলো-

  • জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ও অংশগ্রহণে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ওস্বনির্ভর এলাকায় এবং রাঙামাটিতে সহিংসতা ও হামলার তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে;
  • জানমালের ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়পূর্বক ওই তদন্ত কমিটির সুপারিশ ও নির্দেশনা মোতাবেক নিহত-আহতদের পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে; 
  • অতিদ্রুত বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসারত আহতদের সুচিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে; 
  • হাসিনা সরকারের পদায়িত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সঙ্গে জড়িত সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের বরখাস্ত এবং প্রচলিত ও সেনা আইনে বিচার করতে হবে; 
  • পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে এবং সেনাশাসন ও ‘সেটেলারদের’ প্রত্যাহার করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪
এসসি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।