ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কসবা-আখাউড়াকে স্বপ্নের নগরী গড়তে চাই: ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল হুদা

মেহেদী নূর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪
কসবা-আখাউড়াকে স্বপ্নের নগরী গড়তে চাই: ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল হুদা লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মো. নাজমুল হুদা খন্দকার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের আভিজাত্যে ঘেরা খন্দকার পরিবারের সন্তান লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মো. নাজমুল হুদা খন্দকার। তিনি নিডস্ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

পারিবারিকভাবে জাতীয়তাবাদী চেতনায় ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেছেন তিনি।  

নাজমুল হুদা খন্দকারের বাবা আ. রশিদ মাস্টার ছিলেন একজন গ্রাম সরকার। চাচা প্রফেসর আবু জামাল খন্দাকার ছিলেন বিএনপি কসবা থানা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে জড়িত একজন নিবেদিত র‌াজনীতিবিদ। অন্যদিকে স্ত্রী মাকসুদা সিলাত একজন সুপরিচিত নারী উদ্যোক্তা ও ফ্যাশন ডিজাইনার।  

মো. নাজমুল হুদা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার সিভিল সম্পন্ন করেন ১৯৯৬ সালে ডুয়েট থেকে। তিনি ডুয়েটের কাজী নজরুল ইসলাম হলে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি, কসবা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক উপদেষ্টা, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সদস্য, আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট।  

ঢাকাস্থ কসবা উপজেলা সমিতি সাধারণ সম্পাদক পদে ২০২২ সাল থেকে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল হুদা।  

কঠোর পরিশ্রমে একজন সফল ব্যক্তিত্ব ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল হুদা বর্তমানে নিডস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় ও সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বন্যায় কসবা আখাউড়া উপজেলায় আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছেন তিনি। সমাজ সেবায় বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে অনেক সম্মাননা পেয়েছেন নাজমুল হুদা।  

ইঞ্জিনিয়ার মো. নাজমুল হুদা খন্দকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৪ (আখাউড়া—কসবা) আসনে জাতীয়তাবাদী দল থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী।  

তিনি কসবা-আখাউড়াকে স্বপ্নের নগরী হিসেবে গড়তে চান। যেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি একটি মাদকমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত রাষ্ট্র সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করে জনগণের ক্ষমতার নির্বাচিত সরকারের কাছে হস্তান্তর করবে। আগামী নির্বাচনে জয় লাভ করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন বিএনপি।  

নাজমুল হুদা বিশ্বাস করেন, বিএনপি বাংলাদেশের জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।  

সমাজসেবাসহ দেশের বিভিন্ন আর্থ সমাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা এই ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এই প্রতিবেদকের সঙ্গে।

এ সময় নানা প্রশ্নের উত্তরে তার বক্তব্য তুলে ধরা হলো....

বাংলানিউজ: আপনি দল থেকে মনোনয়ন পেলে নির্বাচিত হয়ে কসবা আখাউড়ার উন্নয়নে কেমন ভূমিকা রাখবেন?

মো. নাজমুল হুদা খন্দকার: কসবা-আখাউড়া এই দুটো নাম আমার হৃদয়ের স্পন্দন, আমার অকৃত্রিম ভালোবাসার একটি জায়গা। আর এই জনপদের প্রতিটি মানুষ আমার আত্মার আত্মীয়, কর্মচিন্তা চেতনায় নিবিষ্ট। কসবা আখাউড়ার বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, মসজিদ- মাদরাসা, বাজার ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে মানুষের মৌলিক চাহিদার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রত্যেকটি উন্নয়নের প্রতি থাকবে আমার আন্তরিক চেষ্টা। কসবা-আখাউড়াকে আমি স্বপ্নের নগরী করতে চাই। পাশাপাশি বিএনপিপ্রতিষ্ঠাতা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন লালিত সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা বাংলাদেশ বাস্তবায়নই হবে আমার একমাত্র উদ্দেশ্য।

বাংলানিউজ: রাজনৈতিক দল এবং এলাকার জনগণের আপনার প্রতি আস্থা কেমন?

মো. নাজমুল হুদা খন্দকার: আমি বাংলাদেশি, জাতীয়তাবাদের আদর্শের একজন সৈনিক, শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক। তাছাড়া আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস রেখে আমি জাতীয়তাবাদী সকল কর্মসূচিকে বাস্তবায়ন করার জন্য মিছিল মিটিং করে রাজপথে থেকেছি। জনসভাসহ সব কর্মসূচিকে সফল ও বাস্তবায়ন করতে একাগ্রচিত্তে কাজ করে যাচ্ছি। তাছাড়া কেন্দ্রীয় বিএনপির সব কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস বিএনপির নীতি নির্ধারণী ফোরাম এবং নমিনেশন বোর্ড আমার কর্মকাণ্ড, কর্মসূচি ও আমার চলমান ১৭ বছরের ত্যাগ-তিতিক্ষাকে মূল্যায়ন করবে। কসবা -আখাউড়া নির্বাচনী এলাকায় আমার সব কর্মসূচিতে দলীয় নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা এবং আপামর জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে আমার প্রতি তাদের অবিচল আস্থা রয়েছে।

বাংলানিউজ: মানবিক কাজে বারবার এগিয়ে আসার পেছনে আপনার কী ধরনের অনুপ্রেরণা কাজ করে?

মো. নাজমুল হুদা খন্দকার: ‘মানুষ মানুষের জন্য’- কথাটি আমি ছোটকাল থেকেই অন্তরে লালন করি। তাই, রাজনীতির পরিচয়ের বাইরেও আমি বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে আমি আর্ত-মানবতার সেবায় সব সময় সোচ্চার থেকে অনুদান দিয়ে থাকি। মানবতার কল্যাণে যখনই আমার ডাক পড়ে আমি উপস্থিত হই অকৃপণ হস্তে। গত সিডরের সময় আমি আর্থিক সহযোগিতা করেছি, বিপদগ্রস্ত নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া অতিসম্প্রতি কসবা ও আখাউড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ মানবতার পাশে থেকেছি। আখাউড়া এলাকায় প্রায় ৩০০ পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিয়েছি এবং কসবাতে ৪০০ পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী দিয়েছি। তাছাড়াও এলাকার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মসজিদ-মাদরাসা, স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমি আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে থাকি। এসব জনসেবা আমাকে আনন্দ দেয়।

বাংলানিউজ:  কসবা -আখাউড়ার মানুষের প্রতি আপনার আহ্বান কী থাকবে?

মো. নাজমুল হুদা খন্দকার: জাতি গঠনে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই । সুতরাং প্রতিটি পরিবারকে সন্তানদের শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়ে সচেতন হতে হবে। আর অবশ্যই মাদক সেবন এবং বিক্রয় থেকে আমাদের যুব সমাজকে রক্ষা করতে হবে। সামাজিক সম্প্রীতি এবং বন্ধন অটুট রাখার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।