ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ডিসি নিয়োগে ঘুষের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৪
ডিসি নিয়োগে ঘুষের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত

ঢাকা: জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

সম্প্রতি জনপ্রশাসন সচিতের বিরুদ্ধে বিপুল অংকের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে এসেছে।

এ বিষয়ে তদন্তের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, অবশ্যই আমরা এটি তদন্ত করব, সরকার করবে। কিন্তু এখানে দুটি জিনিস মিডিয়াকে মাথায় নিতে হবে। এও কিন্তু আমরা খতিয়ে দেখছি, যেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুলভাবে প্রচারিত হলো, তা কতটা এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রডিউসড, কতটা রিয়েল। কতটা ফেক, আমাদের মতো সাধারণ মানুষ বলতে পারে না।  

তিনি বলেন, এর টেকনিক্যাল ইন্টেগ্রিটি জানার জন্য কেবিনেটে কথা হয়েছে। তা ইনভেস্টিগেট করে ইমিডিয়েটলি দেখতে হবে। আমরা অবশ্যই ইনভেস্টিগেট করব। অত্যন্ত দায়িত্বশীল জায়গায় প্রতিষ্ঠিত কর্মকর্তাদের কোনো ধরনের দায়িত্বহীনতা মেনে নেওয়া যাবে না। এটিও আমাদের অনুশাসনের অধীনে আনতে হবে।

বিষয়টি তদন্তে উপদেষ্টাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, একটি কমিটি করেছি। তারা এটি দেখবে। ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে নিয়ে এরকম কথা। এ নিয়ে অবশ্যই আমরা উদ্বিগ্ন। এ কথা (ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ) কেন উঠল, এর সূত্র কী, এটার কারণ কী- তা খতিয়ে দেখতে হবে। আমরা তো এখন অ্যানালগ যুগে নেই, এজন্য আমাদের বাড়তি কষ্টটা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যেটি আসছে, আমরা লাফ দিয়ে ধরে নিতে পারি না, এটিই সর্বস্ব সত্য। আমাদের এটি যাচাই করতে হয়।

ডিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি দৈনিক কালবেলা পরপর দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।  

দ্বিতীয় প্রতিবেদনে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা আদানপ্রদানের কিছু ক্রিনশট প্রকাশ করে বলা হয়, ওই আলাপচারিতা একজন যুগ্ম সচিবের সঙ্গে জনপ্রশাসন সচিবের। ডিসি নিয়োগে ‘৫ থেকে ১০ কোটি টাকা’ লেনদেনের কথা হয় সেখানে।

বাংলানিউজ স্বাধীনভাবে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। তবে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জনপ্রশাসন সচিব। আর্থিক লেনদেনের অভিযোগকে তিনি ‘মূল্যহীন’ বলে দাবি করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২৪

এমআইএইচ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।