সাতক্ষীরা: রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ঐতিহাসিক যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরের মুকুট চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার করা চারজন। তবে, তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য এখনই প্রকাশ করছেন না মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা।
রোববার (১৩ অক্টোবর) চারজনকে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপপরিদর্শক এসআই আহমেদ কবির।
এর আগে শনিবার সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম সুজাতা আমিন তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- ঈশ্বরীপুর গ্রামের মৃত ছেদাম সরকারের স্ত্রী ও মন্দিরের সেবায়েত রেখা সরকার (৪৫), একই গ্রামের অখিল চন্দ্র সাহার ছেলে অপূর্ব কুমার সাহা (৪৬), মৃত গোকুল চন্দ্র সাহার ছেলে সঞ্জয় বিশ্বাস এবং শ্রীফলাকাটি এলাকার হরেণ বিশ্বাসের স্ত্রী পারুল বিশ্বাস।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহমেদ কবির জানান, শনিবার শ্যামনগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সেবায়েত রেখা সরকারসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের সাতক্ষীরার আমলি আদালত-৫ এ হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত প্রত্যেকের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রোববার তাদের কারাগার থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তবে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে এখনই সেসব তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
২০২১ সালের ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যশোরেশ্বরী কালী মন্দির পরিদর্শনে এসে প্রতিমার মাথায় একটি সোনার মুকুট পরিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে মুকুটটি চুরি হয়ে যায়। মন্দিরের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে এক যুবককে মুকুটটি চুরি করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় মন্দিরের সেবায়েত জ্যোতি প্রকাশ চট্টপাধ্যায় বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে শ্যামনগর থানায় মামলা করেছেন। পরে মামলাটির তদন্তভার জেলা ডিবি পুলিশকে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৪
এসআই