ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কুমিল্লায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে প্রাণ হারালেন যুবক 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৪
কুমিল্লায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে প্রাণ হারালেন যুবক  নিহত বাবুল মিয়া

কুমিল্লা: কুমিল্লায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে এক যুবক খুন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আরও অন্তত পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।

 

রোববার (১৩ অক্টোবর) রাতে জেলার মনোহরগঞ্জের সাতেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।  

নিহত যুবকের নাম বাবুল মিয়া (২৭)। তিনি সাতেশ্বর গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। বাবুলের আড়াই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার বেলা ১১টায় সাতেশ্বর গ্রামের নড়াই বাড়ির পাশ দিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে যাচ্ছিল একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রিমন ওরফে হৃদয় মিয়া। দ্রুতগতিতে অটোরিকশা চালিয়ে যাওয়ায় ওই বাড়ির শিশুদের গায়ে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে ওই বাড়ির বাসিন্দাসহ স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে অটোরিকশাচালক হৃদয়ের তর্কাতর্কি ও হাতাহাতি হয়। পরে হৃদয় ফেরার সময় আবারও ওই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে আবার ঝামেলায় জড়ায়। ঘটনাটি সমাধানের জন্য গতকাল সন্ধ্যার পর সাতেশ্বর পূর্বপাড়ার একটি দোকানের সামনে সালিশ বৈঠক বসে। এসময় খিলা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি আবদুল মতিন, ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি এমরান হোসেনসহ গ্রামের গণ্যমান্যরা দুই পক্ষকে মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তার পক্ষে থাকা সুমন, রুবেল, অন্তর, রিপন, আবদুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন এ সিদ্ধান্ত মেনে নেননি। তারা অপর পক্ষের ওপর হামলা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। একপর্যায়ে বাবুলসহ স্থানীয় লোকজন তাদের থামাতে গেলে হৃদয়সহ তার লোকজন চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এসময় বাবুলের পায়ে, পিঠে ও হাতে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  

এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুলাল মিয়া, আবদুল মান্নান, মনির হোসেন, যুবদল নেতা এমরান হোসেনসহ পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মনোহরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার পর রাতেই পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ১০ জনের নাম ও অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার মূল আসামি ও বাবুলকে ছুরিকাঘাত করা সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।