কক্সবাজার: সকালে ঝলমলে রোদ, দুপুরে মেঘাচ্ছন্ন কক্সবাজারের আকাশ। এভাবে চলছে রোদ-মেঘের লুকোচুরি খেলা।
টুরিস্ট পুলিশ, লাইফ গার্ড ও বিচ কর্মীদের বার বার নিষেধ সত্ত্বেও পর্যটকরা সাগরে নামছেন। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মীদের সুপারভাইজার মো. বেলার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবও খুব একটা নেই। তবুও যেহেতু তিন নম্বর সংকেত চলছে, পর্যটকদের সাগরে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে। কিন্তু কেউ তা মানছেন না।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক সবুর আলম (৩৫) বলেন, কক্সবাজার বেড়াতে এসে দেখছি ঘূর্ণিঝড় আসছে। এসে যখন পড়েছি রুমে বসে থেকে কী করবো, তাই সৈকতে এসেছি।
কুমিল্লা থেকে আসা পর্যটক রহিম উদ্দিন (২৩) বলেন, ঘূর্ণিঝড় দেখতে সৈকতে এসেছি। তবে এখানে ঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত চলছে। দুর্ঘটনা এড়াতে বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে যাত্রীবাহী ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজারের আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কখনো কড়া রোদ, কখনো মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। তবে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি। সৈকতেও পর্যটকদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি পশ্চিম ও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘনীভূত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালের মধ্যে এটি বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিম ও ভারতের উড়িষ্যা উপকূল দিয়ে অতিক্রম করতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
এসবি/আরবি