ঢাকা: ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি এবং হতাহতের ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে নিরাপত্তা চেয়ে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট থানার দ্বারস্থ হয়েছেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে প্রায় অর্ধশত বাসিন্দা মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশকে অবগত করেন।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার আলী জানান, বিকেলের দিকে মোহাম্মদপুর এলাকার কিছু ছাত্র ও এলাকাবাসী থানায় এসে জড়ো হন। তাদের দাবি ছিল, এলাকার নিরাপত্তা ও নিজেদের নিরাপত্তা। পুলিশ তাদের কথা শুনেছে, পুলিশের তরফ থেকে এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
পুলিশ জনগণের নিরাপত্তার জন্যই কাজ করে থাকে উল্লেখ করে ওসি বলেন, মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে।
থানায় অবস্থানকালে এলাকাবাসী সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্টের পর পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে ছিনতাইকারী ও কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বেড়ে গেছে। ছিনতাই থেকে শুরু করে একের পর এক মোহাম্মদপুর এলাকায় অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। আমরা এই অবস্থা থেকে মুক্তি চেয়ে মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ওসির কাছে আমাদের দাবির কথা তুলে ধরেছি।
এদিকে মোহাম্মদপুরবাসীর জীবনে স্বস্তি আনতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। শনিবার (২৬ অক্টোম্বর) রাত ১০টার দিকে ঢাকা উদ্যান, চাঁদ উদ্যান ও নবোদয় হাউজিং এলাকায় অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। এ সময় ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাংয়ের ৪৫ জনকে আটক করেন বাহিনীর সদস্যরা।
সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ২৩ ইস্ট বেঙ্গল, র্যাব ও পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে। মোহাম্মদপুর সেনাবাহিনী ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ মজুমদার বলেন, অভিযানে আটকদের কাছ থেকে ৯টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ত্রাস দমন ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৪
এজেডএস/এইচএ/