নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে কয়েকদিন ধরে শীত ও কুয়াশা বাড়তে শুরু করেছে। সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত কষ্টে জীবন পাড় করছেন ছিন্নমূল নারী-পুরুষরা।
জেলার কামারপুকুর, বোতলাগাড়ি, খাতামধুপুর, বাঙ্গালীপুর, কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়ন ও সৈয়দপুর পৌর এলাকার শীতের তীব্রতা বাড়ায় গরিব, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষরা কষ্ট পাচ্ছেন। অনেকে পুরোনো কাঁথা কিংবা চট গায়ে দিয়ে ঘুমিয়ে আছেন।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে সৈয়দপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ছিন্নমূল নারী-পুরুষ শীতের রাতে সামান্য একটু কাপড় গায়ে মুড়িয়ে শুয়ে আছেন।
স্টেশনে কথা হয় বিধবা তছলিমা বেগমের (৬৫) সঙ্গে। তিনি বলেন, স্বামী নেই, অভাবের সংসার। সারাদিন ভিক্ষা করে রাতে রাতে স্টেশনে থাকছি। এবার একটু বেশি ঠান্ডা পড়বে মনে হয়েছে। এখনও কেউ গরম কাপড় দেয় নাই।
সকালের ঠান্ডায় জবুথবু ভ্যানচালক আজগার আলী (৫৭)। তিনি জানান, পাঁচজনের সংসার তার। ঠান্ডা উপেক্ষা করে পাইকারি সবজি বাজার বাইপাস সড়কে এসেছি। এখান থেকে শাকসবজি নিয়ে বাজারে যাবো। সকাল সকাল বের হওয়ায় কুয়াশার কারণে ১০ ফুটও দেখা যাচ্ছে না। যে ঠান্ডা পড়েছে আমাদের মতো গরিব মানুষদের কষ্ট।
এদিকে সৈয়দপুরে পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে জমে উঠেছে বেচাকেনা। তবে এবছর দাম একটু বেশি বলে জানান ক্রেতা ও বিক্রেতারা। গরিব ও অসহায় মানুষের শীতের ভরসার স্থল ফুটপাথের পুরোনো দোকান।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌরসভার প্রশাসক নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, কয়েকদিন থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে সকালে কুয়াশা পড়ছে। শীতবস্ত্রর জন্য আমরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। সরকারের পাশাপাশি একাজে বিত্তবান ও এনজিওদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
এসএম