বরিশাল: ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আটক করে মারধর ও টাকা চুরির অভিযোগে করা মামলায় এক এসআইসহ দুইজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল আমিন তাদের জেলে পাঠিয়েছেন বলে জিআরও মো. ফারুক জানান।
এর আগে রোববার রাতে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় একটি জুয়ার আসরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে হানা দেওয়া দুইজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। এ সময় তাদের কাছ থেকে হাতকড়াও উদ্ধার করা হয়।
কারাগারে যাওয়া ওই দুইজন হলেন-বরিশালের কাজিরহাট থানার এসআই এইচএম রেদোয়ান ইসলাম (৩৫) ও মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাকিবুল হক রাসেল (৩৮)। এসআই রেদোয়ান ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার লক্ষণকাঠি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ও রাসেল নগরীর পশ্চিম কাউনিয়া এলাকার মোজাম্মেল হক আকনের ছেলে।
তাদের বিরুদ্ধে বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা জমিদার বাড়ির বাসিন্দা মো. ফারুক মিয়ার ছেলে মো. সৌরভ মিয়া বাদী হয়ে বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেছেন। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া অপর দুইজন হলেন- মশিউর রহমান ও মো. ফরিদ উদ্দিন। তাদের বিরুদ্ধে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে অন্যায়ভাবে আটক করে মারধর ও একলাখ ৬ হাজার টাকা চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির শিকদার বলেন, মামলার আসামি হিসেবে দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুইজনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া অপর দুইজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বরাতে তিনি জানান, বাবুগঞ্জের মাধবপাশ ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া এলাকায় রোববার রাতে কয়েকজন যুবক তাস দিয়ে জুয়া খেলছিল। এ সময় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সেখানে হানা দেয় মামলার চার আসামি। তারা পাঁচ যুবকের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন সেট নিয়ে যায়। তখন এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তাকে (বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসিকে কল দেয়। তিনি সেখানে কোনো পুলিশ অভিযানে যায়নি জানালে এলাকাবাসী দুইজনকে আটক করে। পরে গণপিটুনি দিয়ে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
বরিশালের কাজির হাট থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, এসআই এইচএম রেদোয়ান ইসলামকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
এমএস/জেএইচ