ফরিদপুর: ফরিদপুরে মো. মোত্তাকিম (২১) নামে এক নার্সিং শিক্ষার্থীর সঙ্গে শাহীন জোয়ার্দার নামের এক চিকিৎসকের ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে মারধরে আহত হন চিকিৎসক শাহীন জোয়ার্দার।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
আহত চিকিৎসক শাহীন জোয়ার্দার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। এছাড়া তিনি (শাহীন জোয়ার্দার) ফরিদপুর শহরের কোমরপুর এলাকার বাসিন্দা।
অন্যদিকে, মারধরের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠা মোত্তাকিম ফরিদপুরের বেসরকারি জেড এম প্রাইভেট নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার মো. আলমগীরের ছেলে। তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নি করছেন বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহীন জোয়ার্দার হাসপাতালটির ট্রমা সেন্টার থেকে নিচে নামছিলেন। এ সময় জেড এম প্রাইভেট নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মোত্তাকিম নিচে থেকে ওপরে উঠছিলেন। তখন অসাবধানতাবশত চিকিৎসক শাহীন জোয়ার্দারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে মোত্তাকিমের। তখন উত্তপ্ত হয়ে মুত্তাকিমের কলার ধরে চড়থাপ্পড় মারেন চিকিৎসক। অতঃপর, বাড়ি ফিরে মুত্তাকিম তার কিছু পরিচিতদের নিয়ে ফের চিকিৎসকের গেলে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে চিকিৎসক শাহীনকে মারধর করেন তারা। এ সময় চিকিৎসকের দুটি দাঁত ভেঙে যায়।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দিলরুবা জেবা বলেন, শাহীন জোয়ার্দার ফরিদপুরের একজন সুনামধন্য অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক। তাকে যে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছে তার ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। আমরা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা নেব। এছাড়া আমরা বিষয়টি ফরিদপুরের ডিসি, এসপিসহ স্বাস্থ্য বিভাগকে লিখিত আকারে জানাবো। এ ঘটনার পর থেকে আমাদের চিকিৎসকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোরশেদ বলেন, আমরা এ ঘটনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে এনেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
আরআইএস