ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দেশের কল্যাণে যে কোনো ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৫
দেশের কল্যাণে যে কোনো ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: দেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে যে কোনো ঝুঁকি নিতে তিনি প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (০৮ জানুয়ারি) সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ১৯তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ মত দেন।



গণআন্দোলনের নামে বিএনপি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের সম্পৃক্ততা না পেলে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয় অনেকে। সেই কাজগুলিই এখন চলছে। এটা হচ্ছে দুর্ভাগ্য।
 
তিনি বলেন, দেশের মানুষের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে আমি যে কোনো ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত আছি। এজন্য বাংলার মাটিতে আমার মৃত্যু হলে হবে। আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না।
 
‘খুন’ ও জানমালের ক্ষতি করে বিএনপি নেত্রী ‘জামায়াতের কাজগুলি করে দিচ্ছেন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষকে পুড়িয়ে মারা, বাসের ঘুমন্ত ড্রাইভারকে পোড়ানো, যাত্রীদের গায়ে আগুন দেওয়া, মানুষ খুন করা এটা কোন ধরনের আন্দোলন, আমি জানি না।

তিনি বলেন, এটা তো আন্দোলন না। এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এটা গণআন্দোলন না। এটা জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড।

নির্বাচনে বিএনপির না আসার রাজনৈতিক ভুলের খেসারত সাধারণ মানুষকে দিতে হবে কেন, এ প্রশ্ন রেখে খালেদা জিয়ার উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, উনি (খালেদা)  একেবারে অবরোধের ডাক দিয়েছেন। উনার অবরোধ কী! মানুষ খুন করা, বাস পোড়ানো, মানুষের ক্ষতি করা।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটু হিসাব করে যদি দেখেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশে যারা সরকার প্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছেন, তাদের মধ্যে শুধু বঙ্গবন্ধু আর আমি, আমরা দুজনেই কিন্তু এই মাটির সন্তান। এই মাটিতেই জন্মগ্রহণ করেছি। কাজেই, মাটির টান, মাটির প্রতি ভালোবাসা, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, এটা আমাদের থেকে বেশি কার থাকতে পারে?
 
স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে চায় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, রক্ত দিয়ে এদেশের স্বাধীনতা এনেছি। এই স্বাধীনতার সুফল যতক্ষণ পর্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে না পৌঁছাবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাজ করে যেতেই হবে।
 
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারকাত।

সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে সমিতির ‘আজীবন সম্মানীয় সদস্য’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির পক্ষ থেকে চারজনকে স্বর্ণপদক সম্মাননা দেওয়া হয়।
 
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাবেক অর্থমন্ত্রী অশোক মিত্র, প্রথম বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সহ-সভাপতি এবং বর্তমানে ওয়াশিংটনস্থ ফুড পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের গবেষণা ফেলো অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, প্রথম বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মুশাররফ হোসেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর লুৎফর রহমান সরকার এ পদক পান।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৫ / আপডেট : ১৭৪০ ঘণ্টা

** বাংলাদেশের সংবিধান বিশ্বের শ্রেষ্ঠ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।