ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনা প্রেসক্লাবে জাতির পিতার ভাস্কর্য উদ্বোধন মঙ্গলবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
খুলনা প্রেসক্লাবে জাতির পিতার ভাস্কর্য উদ্বোধন মঙ্গলবার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে স্থাপন করা হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ভাস্কর্য। ঢাকার বাইরে দেশের কোনো প্রেসক্লাবে স্বাধীনতার মহান স্থপতির পূর্ণাঙ্গ নান্দনিক ভাস্কর্য স্থাপন এই প্রথম।



এর নামকরণ করা হয়েছে জাতির পিতার ভাস্কর্য।

ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছেন শিল্পী প্রশান্ত দাশ ও শিল্পী সুকুমার বাকচী।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করবেন। এ লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে খুলনা প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ।

উন্নতমানের মার্বেল, হোয়াইট সিমেন্ট, মার্বেল ডাস্ট, লোহার রড ও এসএস রডসহ নানা সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে ভাস্কর্যটি নির্মাণে। ৩ ফুট বেদিসহ গ্রে রঙের এ ভাস্কর্যটির উচ্চতা ১৫ ফিট। এটি নির্মাণে প্রায় ৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহনীয় ভাস্কর্যটি স্থায়ী হবে প্রায় ৫শ’ বছর।

স্যার ইকবাল রোডের প্রেসক্লাবের বালু-মানিক মিলনায়তনের পূর্ব পাশে স্থাপিত ভাস্কর্যটি উদ্বোধনের পর থেকেই নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে সর্বস্তরের মানুষের দর্শনের জন্য উম্মুক্ত থাকবে।

প্রেসক্লাব চত্বরে জাতির জনকের ভাস্কর্য স্থাপনের দাবি ওঠে ২০০৭ সালে। ক্লাবের স্থায়ী সদস্য মল্লিক সুধাংশু এ দাবি উত্থাপন করেন। সেই থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে দাবিটি উত্থাপিত হলেও নানা প্রতিকূলতার কারণে ভাস্কর্য স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। তবে ২০১৫ সালের নির্বাচিত কমিটি দায়িত্বভার নেওয়ার পর প্রথম সভায়ই নির্বাহী কমিটির সদস্য মল্লিক সুধাংশু বার্ষিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পুনরায় প্রেসক্লাব চত্বরে জাতির জনকের ভাস্কর্য স্থাপনের প্রস্তাব করেন।

পরবর্তীতে নির্বাহী পরিষদের সভায় প্রস্তাবটি পাস হলে নির্বাহী কমিটির সদস্য মল্লিক সুধাংশুকে আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক সুবীর রায়কে সদস্য সচিব করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট ‘জাতির পিতার ভাস্কর্য’ নির্মাণ কমিটি গঠন করা হয়।

ভাস্কর্য নির্মাণ কমিটির আহবায়ক মল্লিক সুধাংশু সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একই সূত্রে গাথা। তাই জাতির যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে এই ভাস্কর্য আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে প্রেরণা যোগাবে। এ কারণেই প্রেসক্লাব চত্বরে ভাস্কর্য নির্মাণের এ উদ্যোগ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘স্বাধীনতার রক্তসিঁড়ি’র পর এবার খুলনা প্রেসক্লাবে জাতির জনকের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হলো। ভাস্কর্যটি অনাগত কাল ধরে ভবিষ্যত প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শানিত করবে। এ ভাস্কর্যে শিল্পী জাতির জনকের আপোষহীন ও দৃঢ়চেতা অভিব্যক্তিই ফুটিয়ে তুলেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
এমআরএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।