ঢাকা: ২০১৫ সালে সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগজক ছিলো বলে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পর্যালোচনা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন তুলে ধরেন আসক’র নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ পর্যন্ত মোট ২১টি যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় প্রদান করেছেন। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে ৫টি মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৫ সালে ৩টি মামলার রায় কার্যকর করা হয়েছে। এছাড়া একাত্তরের ৪১ জন বীরঙ্গনা নারীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান সরকারের প্রশংসিত সিদ্ধান্ত ছিলো। এরপরও ২০১৫ সালের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিলো উদ্বেগজক।
প্রতিবেদনে গণপিটুনি তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, ২০১৫ সালে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে। ২০১৪ সালে গণপিটুতে হত্যা করা হয় ১২৩ জনকে। ২০১৫ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৩৫ জন। ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর কাজীপাড়ায় তিন তরুণ গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও আসক অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই এলাকায় গণপিটুনির কোনো ঘটনা ঘটেনি। আসক মনে করে, জনগণের হাতে আইন তুলে নেওয়ার এসব ঘটনা মানবাধিকারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা জানুয়ারি ১, ২০১৬
এসএ/ ইউএম/আরএম