ঢাকা: শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক বলছেনে, তৈরি পোশাক শিল্পের কারখানা পরিদর্শন, ঝুঁকি নিরুপণ, কারখানা নিরাপত্তা দেখভালের বিষয়ে ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদশ সক্ষমতা অর্জন করবে। এ লক্ষ্যে সংস্কার সমন্বয় সেল (আরসিসি) কাজ করে যাচ্ছে।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আইএলও’র মহাপরিচালক গাই রাইডারের সঙ্গে বৈঠকে শ্রম প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলনে, বর্তমানে ২৬৪জন কলকারখানা পরিদর্শক রয়েছেন। ৮৯ জন পরিদর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন এবং ২০১৮ সালের মধ্যে চাহিদা মতো জনবল নিয়োগ সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর কলকারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিরুপণের সক্ষমতা অর্জন করবে। ২০১৮ সালের পরে অ্যাকড-এলায়েন্সের আর প্রয়োজন পড়বে না বলে মন্ত্রী আশা করেন।
বৈঠকে অইএলও মহাপরিচালক বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্প পরিদর্শনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে ট্রেড ইউনিয়নের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চান।
এ বিষয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালে রানাপ্লাজা দুর্ঘটনার পর কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে বিশেষ করে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সব তৈরি পোশাক কারখানাকে পরিদর্শন কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। সরকার শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় শ্রম আইন সংশোধন করেছে। জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে, নীতিমালা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন। কারখানাগুলোর নিরাপত্তা রক্ষায় আরসিসি’র কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর। এখন পর্যন্ত রানা আট হাজার ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়েছে। প্লাজা পরবর্তী সময়ে শুধু তৈরি পোশাক শিল্পে চারশ’র বেশি ট্রেড ইউনিয়ন অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সরকারের নেওয়া এসব পদক্ষেপে আইএলও মহাপরিচালক সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক সৈয়দ আহামদ এবং আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টও শ্রী নিভাস বি রেড্ডি উপস্থিত ছিলেন।
আইএলও মহাপরিচালক শুক্রবার মধ্যরাতে চারদিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকইল শিপার, যুগ্ম সচিব আমিনুল ইসলাম এবং বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বিমান বন্দরে তাকে শুভেচ্ছা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৬
এসএইচ