ঢাকা: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থান থেকে উত্তোলনের পর ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মরদেহের ময়নাতদন্ত ফের সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দিয়াজের ময়নাতদন্ত শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা ৩টায়।
ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল টিম ময়নতদন্ত সম্পন্ন করেন। অন্য দুই সদস্য হলেন- একই বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস ও কবির সোহেল।
ময়নাতদন্ত শেষে বেরিয়ে সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, দিয়াজের শরীর থেকে ভিসেরা, গলা থেকে টিস্যু ও দাঁত সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনাগুলো হিস্টোপ্যাথলজিতে পাঠানো হবে। এর আগে আমরা সিন অব ক্রাইম ভিজিট করবো। সবকিছু পর্যালোচনার পর আমরা একটি ফাইনাল রিপোর্ট দেবো।
তিনি আরও বলেন, দিয়াজের শরীরে আমরা আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি।
এ কথা শোনার পর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে উপস্থিত দিয়াজের স্বজনদের মধ্যে কিছুটা আশার সঞ্চার হলেও তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলনের পর দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে আনা হয়। এসময় চট্টগ্রাম সিআইডি বিভাগের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন মরদেহ বহনকারী গাড়ির সঙ্গে ছিলেন।
এর আগেই দিয়াজের স্বজনরা রাজধানীর একটি হোটেলে অবস্থান করেন। রোববার ময়নাতদন্ত শুরু হলে দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী ও বোন জুবাঈদা ছরওয়ার চৌধুরী নিপা সহ স্বজনরা ঢামেকে আসেন।
মা জাহেদা আমিন দিয়াজের ছবি নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার ছেলের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ছেলের হত্যার বিচারের জন্য আমি শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়ে যাবো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার আকূল আবেদন, এটা আত্মহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ড।
এসময় সঙ্গে থাকা স্বজনরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেওয়া ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনটি ২২ ঘণ্টার মধ্যে কীভাবে দেওয়া হলো, এটি নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬/আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা
এজেডএস/এএটি/এনএনএস