লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার পোড়াগাছা ইউনিয়নের চর কলাকোপা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত মো. জাকের হোসেনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় বিকেলে রামগতি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরপর পুলিশ প্রতিপক্ষের ৬ জনকে গ্রেফতার করে। এরা হলেন- আবদুল মালেক, মো. গিয়াস, মো. বেলাল, ফরিদ উদ্দিন, মো. হেলাল ও ফারুক।
এদিকে, জাকের হোসেনের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছালে নিহতের স্বজনরাসহ বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে।
তবে, নিহত জাকের হোসেনের পরিবারের লোকজন এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, নাজু গংরা নিজেরাই তাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে অন্যের ওপর দায় চাপাতে অপচেষ্টা করছে।
নিহত জাকের হোসেন উপজেলার চর কলাকোপা গ্রামের মহর আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলা পোড়াগাছা ইউনিয়নের চর কলাকোপা গ্রামের আবুল হোসেন গংদের সঙ্গে একই গ্রামের নাজু গংদের তিন একর জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধপূর্ণ ওই জমি দীর্ঘদিন থেকে আবুল হোসেন গংদের দখলে ছিল।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নাজিম উদ্দিন (নাজু) গং লোকজন নিয়ে ওই জমির ধান কাটতে গেলে আবুল হোসেন গংদের বর্গাদার জাকের হোসেন তাতে বাধা দেয়। এসময় তারা জাকেরকে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনার পর দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।
আহত জাকের, মতিন, ইমাম হোসেনসহ কয়েকজনকে নোয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত জাকের হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে রোববার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত জাকের হোসেন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এ ঘটনায় আবুল হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগের বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। সংঘর্ষে নিহত ও বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগের বিষয় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
আরএ