ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হাসপাতাল নয়, আবর্জনার ভাগাড় শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স!

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৬
হাসপাতাল নয়, আবর্জনার ভাগাড় শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাকে যেখানে সুস্থতার প্রথম শর্ত, সেই সুস্থ হওয়ার প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা-আবর্জনা।

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাকে যেখানে সুস্থতার প্রথম শর্ত, সেই সুস্থ হওয়ার প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা-আবর্জনা। তাও আবার হাসপাতালের ভেতরে।

ওষুধের বিভিন্ন ধরনের পরিত্যক্ত মোড়ক, পলিথিন, তুলা, টিস্যুসহ যতো প্রকারের উচ্ছিষ্ট রয়েছে সবই এ হাসপাতালের ভেতরে।

অবাক করা বিষয় হলো, এ ময়লা আবর্জনাকে দূর করার কোনো উদ্যোগই নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তারা ময়লার পাশ দিয়েই প্রতিদিন অফিসে আসা-যাওয়া করেন। এর চারদিকে দিনের পর দিন অবস্থান করছেন। এ ময়লা-আবর্জনা অপসারণের বিষয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপিয়ে দায়িত্ব এড়াতে চাইছেন কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, ২/৩ মাস পর পর এ আবর্জনাগুলো পৌরসভার কর্তৃক অপসারণ করার কথা।

বিগত বছরগুলোতে যে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে নানা প্রকার ফুলেল শোভায় পরিপূর্ণ থাকতো আজ সেখানে এরকম আবর্জনার বিচিত্র শোভা! মৃদু দুর্গন্ধময় করুণ এ অবস্থা! রোগীদের মতে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর অবহেলার জ্বলন্ত প্রমাণ এটি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগীর আত্মীয় বলেন, আমি অনেক দিন ধরেই এ আবর্জনাগুলো দেখছি এখানে। প্রতিদিনই ভাবি আজ বোধহয় এগুলো পরিস্কার করবে। স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানটি এখন আবর্জনায় ভরা। এটি পরিস্কারে কর্তৃপক্ষের স্বদিচ্ছাই যথেষ্ট।

সম্প্রতি শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির সম্মুখভাগের সীমানা প্রাচীর ঘেরা জায়গাতেই রয়েছে আবর্জনার স্তুপ। চিকিৎসার কাজে ব্যবহারের পর অপ্রয়োজনীয় নানা প্রকারের জিনিসগুলো নিয়মিতভাবে পরিস্কার না করার ফলে এ দূরাবস্থা। কাক, কুকুরসহ নানান প্রাণী খাদ্যের অনুসন্ধানে এ অবর্জনাগুলোকে নানাস্থানে ছিটিয়ে দিচ্ছে।

দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জয়নাল আবেদীন টিটু বাংলানিউজকে বলেন, এটি আসলে আমাদের দায়িত্ব নয়, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার দায়িত্ব। দুই-তিন পরপর তারা এসে ময়লাগুলো নিয়ে যায়।

এ সময় প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক নূর আলম কয়েস গলা মিলিয়ে যোগ করেন, ‌কয়েকদিন আগে পৌরসভাকে ফোন করা হয়েছিলো। এখন পর্যন্ত তারা আসেনি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৬

বিবিবি/এএটি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।