সিলেট: অস্ত্র হাতে, রক্তিম বিজয় নিশান উড়িয়ে যুদ্ধ ফেরত দামাল ছেলে। বিজয়ের মাসে সিলেটে দেয়ালে সুশোভিত মুক্তিযুদ্ধের এমন স্মৃতি অঙ্কন।
বিজয়ের এই মাসে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সরকারি মহিলা কলেজের দেয়ালে এমন চিত্র শোভা পাচ্ছে। সিলেট আর্ট অ্যান্ড আর্টিস্টিক স্কুলের চিত্রশিল্পী ইসমাইল গণি হিমনের রং তুলির ছোঁয়ায় ফুটে ওঠেছে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় স্মৃতিচিহ্ন।
এই চিত্রকর্ম বাড়িয়ে দিয়েছে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সৌন্দর্য।
সিলেটের জিন্দাবাজার থেকে চৌহাট্টা সড়কে যাতায়াত কালে এমন চিত্রকর্ম দৃষ্টিতে এলে দেখে খানিকটা হলেও চোখ ফেরানো যায় না। হিমনের আঁকা রং তুলিতে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতার গৌরবময় দিনের স্মৃতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পোর্ট্রেট ছবি, সাত বীরশ্রেষ্ঠ ও পাঁচজন ভাষা সৈনিক ও পাঁচজন বুদ্ধিজীবীর ছবি।
এর আগে ২০১৪ সালে নতুন রূপে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উদ্বোধনকালে এ ধরনের চিত্রকর্ম দেয়ালে স্থান পেয়েছিল। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ওই বছর রং তুলির এই চিত্রকর্মের উদ্বোধন করেন। এতে শহীদ মিনার ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সমাহিত স্থানের সম্মুখভাগের সৌন্দর্যও বর্ধিত হয়।
পরবর্তীতে বিভিন্ন পোস্টার-লিফলেটের নিচে চাপা পড়ে সেই চিত্রকর্ম।
তবে বছর ঘুরে ফিরে আসা বিজয়ের মাসে ‘বিজয় দিবসকে’ সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চিত্রকর্ম দেয়ালে ফুটিয়ে তোলার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। চিত্র শিল্পী ইসমাইল গণি হিমন বাংলানিউজকে বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের সবগুলো তথ্য চিত্রের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে। এই তাগিদ থেকে ২১টি দেয়ালে চিত্রকর্ম আঁকা। এরই মধ্যে ১১টি দেয়ালে চিত্র আঁকা শেষ। বাকি দেয়ালগুলোতেও চিত্রাঙ্কন খুব দ্রুত শেষ হবে।
তিনি বলেন, আমরা অনেক সময় মুক্তিযুদ্ধের তথ্য ভুলে যাই। যেমন, সাতদফা ও ১১ দফা দাবি। এগুলো জনসম্মুখে তুলে ধরলে মানুষ চলার পথে দেখবে, পড়তেও পারবে। এসব তথ্য একদিন নগরীর দেয়ালে দেয়ালে বাস্তবায়ন হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনকে প্রস্তাবনা দিয়েছেন উল্লেখ করে এই চিত্রশিল্পী বলেন, বিনা পরিশ্রমে তিনি এ কাজ করে থাকেন। চিত্রকর্ম আঁকতে এবার তাকে রং কিনে দিয়েছে সিলেট জেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।
অন্যদিকে, বিজয় দিবসকে সামনে রেখে বিজয় নিশান ‘জাতীয় পতাকা বিক্রির ধুম পড়েছে সিলেটে। সিলেটের অলি গলিতে এখন পড়েছে পতাকা বিক্রির ধুম। বিভিন্ন আকারের পতাকা ১০ টাকা থেকে শতাধিক টাকায় বিক্রি করছেন ফেরিওয়ালারা।
স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে সেগুলো কিনতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৬
এনইউ/এএটি/আরআই