ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল ও ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা জয়রামের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব করা হয়েছে মন্ত্রিসভায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের বলেন, জয়ললিতার ব্যাপারে বলা হয়েছে, ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তিনি সংসদ সদস্য, ১৯৯১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন এবং পাঁচবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বিপ্লবী অগ্নিকন্যা এবং আম্মা হিসেবে পরিচিত জয়ললিতা গত ১০ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন, সে সময় তার বয়স হয়েছিলো ৬৮ বছর।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি তার ছিলো গভীর শ্রদ্ধা।
স্মরণে শাকিল
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিলের মরদেহ গত ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশানের সামদাদো রেস্তরাঁ থেকে উদ্ধার করা হয়।
মন্ত্রিসভার শোক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, শাকিল ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত ছিলেন। সংগঠনের সাংগাঠনিক সম্পাদক এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, উনি (শাকিল) মিডিয়াতে সম্পৃক্ত ছিলেন বেশি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসেবে মিডিয়ার অংশটা দেখতেন।
তার বেশকিছু লেখা আছে, এর মধ্যে উল্লেযোগ্য হলো ‘খেরোখাতার পাতা থেকে’ ও ‘মন খারাপের গাড়ী’।
তিনি লেখক, সাংবাদিক এবং ভালো সংগঠক ছিলেন। একই সঙ্গে দক্ষ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন, বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৪৭ বছর। মাহবুবুল হক শাকিল স্ত্রী, এক মেয়ে ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
নিজ জেলা ময়মনসিংহে শাকিলের মরদেহ দাফন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৬
এমআইএইচ/এটি