রাজশাহী: রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং অফিসার কাজী আশরাফ উদ্দীন।
নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও রাজপাড়া থানা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রামাণিক বাংলানিউজকে জানান, প্রথমে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়।
এসময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুব জামান ভুলু নিজেই উপস্থিত ছিলেন। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার তার মনোনীত একজন প্রতিনিধি পাঠান। তারা দু’জনই আনারস প্রাতীক চান। বিষয়টি সমাধানে পরে লটারি করা হয়। এতে মোহাম্মাদ আলী সরকার আনারস প্রতীক পান। আর তালগাছ প্রতীক পান মাহাবুব জামান ভুলু।
উভয়পক্ষই লটারির মাধ্যমে প্রতীক পাওয়ার বিষয়টি মেনে নেন। পরে সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্যদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসব প্রার্থীদের একাধিক ব্যক্তি একই প্রতীক চাইলে প্রথমে তাদের মধ্যে সমঝোতার সুযোগ দেওয়া হয়। তা না হলে সেখানেও লটারি করা হয়।
এবার রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দু’জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৩ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১২ জন প্রার্থী রয়েছেন। আর প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সংরক্ষিত ১ ও সাধারণ ১, ৬, ১১ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন।
এদিকে, প্রতীক পেয়েই প্রার্থীরা প্রচারণায় নেমে পড়েন। পোস্টার ছাপানোর কাজও পুরোদমে শুরু হয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় ও ৫০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত ব্যয় করতে পারবেন।
আর সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থীরা ব্যক্তিগত ব্যয় সর্বোচ্চ ১০ হাজার এবং নির্বাচনী ব্যয় এক লাখ টাকা করতে পারবেন।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। মোট ভোটার সংখ্যা এক হাজার ১শ ৭১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮শ ৯৬ ও নারী ভোটার ২শ ৭৫ জন। ১৫টি ভোটকেন্দ্রের ৩০টি কক্ষে তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
রাজশাহী জেলার প্রতিটি উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরাই এই নির্বাচনের ভোটার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৬
এসএস/এএটি/এসএনএস