ঢাকা: চাষাবাদের জন্য বীজর মান নির্ধারণ ও প্রত্যায়ন করতে ‘বীজ আইন, ২০১৬’ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ১৯৭৭ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী বীজের কার্যাক্রম চলে। পরিবর্তনের মধ্যে বীজের সংজ্ঞা, বীজ বোর্ড নিয়ে একটি সংস্থার প্রস্তাব করা হয়েছে। বীজের মান নির্ধারণ করবে বোর্ড। কৃষি সচিব তার চেয়ারম্যান হবেন। সরকারি বীজাগার থাকবে, সেখানে বীজ টেস্ট করা হবে।
বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি নামে একটি সংস্থা বীজ প্রত্যায়ন করে সনদ দেবে। মিস ইউজ করলে বীজের সনদ প্রত্যাহার করতে পারবে। বীজের ব্যবসা করতে গেলে সনদ লাগবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
বীজের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পপি বীজকে বীজ হিসেবে নয়, মাদক হিসেবে গণ্য করা হবে।
‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট আইন- ২০১৬, ১৯৭৩ সালের প্রথম আইন করে ১৯৯৬ সালে বড় রকমের সংশোধনী আনা হয়। উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী বাধ্যবাধকতা থাকায় দুটো বিষয়কেই শুধু বাংলায় রূপান্তর করা হয়েছে।
নীতিগত অনুমোদন দিয়ে আইনে অল্প কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। ইন্সটিটিউটের কার্যাবলী একটু ডিটেইল করে পাঁচটির জায়গায় বাড়ানো হয়েছে।
আইনে কাউন্সিল ও বোর্ডের গঠন সম্পর্কে বলা হয়েছে। ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক হবেন বোর্ড চেয়ারম্যান। অর্থ, কৃষি, কাউন্সিলের মনোনীত একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। চার মাস পর পর মিটিং করবে বোর্ড।
চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে ডিগ্রি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউট (সংশোধন) আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয় মন্ত্রিপরিষদ সভায়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০১৩ সালে একটি আইন হয়েছে, ছোট ছোট কিছু সংশোধনী করা হয়েছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা দিতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৬
এমআইএইচ/এএটি/এমজেএফ