ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রস্তুত হচ্ছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৬
প্রস্তুত হচ্ছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে পৃথিবীর বুকে জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশের। ১৬ ডিসেম্বর বাংলার মানুষের সেই কাক্ষিত বিজয়ের দিন। বিজয়ের ৪৫ তম দিবসকে উদযাপন করতে প্রস্তুত হচ্ছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।

আশুলিয়া, সাভার: নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে পৃথিবীর বুকে জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশের। ১৬ ডিসেম্বর বাংলার মানুষের সেই কাক্ষিত বিজয়ের দিন।

বিজয়ের ৪৫ তম দিবসকে উদযাপন করতে প্রস্তুত হচ্ছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।

৩০ লাখ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মৃতিসৌধকে প্রস্তুত করা হচ্ছে নানা রঙে। ১০৮ হেক্টর জমির সবুজ এলাকাটি ঘিরে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ধুয়ে মুছে চকচকে করা হচ্ছে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা।

ইতোমধ্যে সাভার গণপূর্ত বিভাগ প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছে। কাজের গতি বাড়াতে বন্ধ রাখা হয়েছে সাধারণ দর্শণার্থীদের প্রবেশ।

রাষ্ট্রপ্রতি, প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন ভিআইপিরা প্রথম প্রহরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে খুলে দেওয়া হবে দর্শণার্থীদের জন্য।

সরেজমিন সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ব্যস্ত সময় পার করছেন গণপূর্তির কর্মীরা। এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে রং তুলি, ধোয়া মোছা ও বিভিন্ন ফুল গাছের চারা লাগানোর কাজ। শুধু ভিতরে নয় বাইরেও চলছে বিভিন্ন সংস্কার কাজ। ইট সিমেন্টের বিছানাকে দেওয়া হচ্ছে ভিন্ন রূপ। গণপূর্তির কয়েকশ’ কর্মী নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে স্মৃতিসৌধ চত্বরের চারপাশের স্থাপনায়। শত শত টবে নানা রঙের ফুলের গাছ শোভা বাড়িয়েছে স্মৃতিসৌধ এলাকার। কেউ কেউ প্রতিটি স্থাপনায় নিখুঁত হাতে দিয়ে যাচ্ছে তুলির ছোয়াঁ।

১৭ বছর ধরে কামরুলের তুলির ছোঁয়া বাড়িয়ে তুলছে স্মৃতিসৌধের সৌন্দর্য। কামরুল মিয়া বলেন, প্রতি বছর এই দিনে লাখো মানুষের ঢল নামে স্মৃতিসৌধে। তাই মন উজার করে রং তুলির কাজ করি। এমন একটি জায়গায় কাজ করতে পেরে গর্ববোধ করি। এখন রং এর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করি শিগগিরই কাজ শেষ হয়ে যাবে।

স্মৃতিসৌধ চত্বরের গাছের যত্নে ব্যস্ত রায়হান মিয়া বাংলানিউজকে জানান, অন্যান্য দিনের চেয়ে এই দিনটিতে মানুষের সমাগম থাকে অনেক বেশি। তাই দিনটিকে ফুটিয়ে তুলতে স্মৃতিসৌধ এলাকাটিকে সাজানো হচ্ছে। চারদিকে বিভিন্ন রকমের ফুলের চারা রোপণ করা হয়েছে। এগুলোতে যেন ১৬ তারিখের আগেই ফুল ফোটে সে জন্য নেওয়া হচ্ছে বিশেষ যত্ন। ইতোমধ্যে কোনো কোনো গাছে ফুল ফোটা শুরুও করেছে।

এছাড়া চত্বরের টবেও লাগানো হয়েছে কয়েকশ’ ফুলের চারা। ১৬ ডিসেম্বরের আগেই ফুলের মুগ্ধতায় ছড়িয়ে যাবে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা।

সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, প্রতি বছরের মত ১৬ই ডিসেম্বর রাষ্ট্রপ্রতি, প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন ভিআইপিরা প্রথম প্রহরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তারপর জনসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে স্মৃতিসৌধ্যের সংস্কার, ধোয়া-মোছা সৌন্দর্য বর্ধনের ৬০ শতাংশের মত কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

আশা করছি দু’একদিনের মধ্যেই বিজয় দিবসের জন্য স্মৃতিসৌধ পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে। শুধু ভিতরেই নয় স্মৃতিসৌধ এলাকাটির বাইরেও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।