ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিকেল হলেই গুলশান পার্ক, তবে রয়েছে দূষণ

জান্নাতুল ফেরদৌসী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৬
বিকেল হলেই গুলশান পার্ক, তবে রয়েছে দূষণ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বিকেলের মুক্ত বাতাস, সুস্বাস্থ্যের জন্য হাঁটাহাটি, পরিবার প্রিয়জনকে নিয়ে লেকের পাশে ফুচকা খাওয়া, অবসরে শহরের কোলাহল থেকে একটু নির্জনতা; এসব কিছুই এখন মিলছে না গুলশান লেকে। তবে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ থাকায় লেকের দূষিত পানির দুর্গন্ধও নাক এড়াচ্ছে না।

ঢাকা: বিকেলের মুক্ত বাতাস, সুস্বাস্থ্যের জন্য হাঁটাহাটি, পরিবার প্রিয়জনকে নিয়ে লেকের পাশে ফুচকা খাওয়া, অবসরে শহরের কোলাহল থেকে একটু নির্জনতা; এসব কিছুই এখন মিলছে না গুলশান লেকে। তবে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ থাকায় লেকের দূষিত পানির দুর্গন্ধও নাক এড়াচ্ছে না।

নানা কারণে এখনো পরিচ্ছন্নতা ও দূষণের ঘূর্ণিপাকে আবদ্ধ গুলশান লেকটি।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, লেকের পাশ দিয়ে আকা-বাঁকা করে তৈরি হয়েছে ফুটপাত। যার বুকে এখন অসংখ্য মানুষের চলাচল। ফুটপাতের পাশে সারি ধরে চটপটি-ফুচকার দোকান। কেউবা আবার ভ্যানে করে বিক্রি করছেন তৈরি পোশাক।

এদিকে লেক থেকে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হলেও ফুটপাতের ওপর সবজি ব্যবসায়ীরা দেদারছে পচা সবজি ফেলছেন। আরেকপাশ থেকে বাসা বাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে লেকের পানিতে।

তবে রাজধানীবাসীর বিনোদনের জন্য হাতিরঝিল প্রকল্প ঘেঁষে তৈরি হচ্ছে নান্দনিক সৌন্দর্যের এ স্থানটি। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘গুলশান লেক প্রকল্প’। ধীরে ধীরে এগোচ্ছে সেই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ।
 
হাতিরঝিল থেকে লিংকরোড সড়ক পর্যন্ত কাজ কিছুটা এগিয়েছে। গুলশান গুদারাঘাট থেকে শাহজাদপুর ঝিলপাড় পর্যন্ত লেকের দুই পাশেই ময়লা স্তূপ। সড়ক ওয়াকওয়ে এখনও তৈরি করা হয়নি। তবে সড়ক তৈরির জন্য মাটি ভরাট ও ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। এখন সেখানে চলছে সড়ক ও ওয়াকওয়ে (আলাদা হাঁটার রাস্তা) তৈরির পূর্ব প্রস্তুতি। মনোরম পরিবেশ আর দৃষ্টিনন্দন রূপ দিতে ও পরিবেশকে আরো উপভোগ্য করতে কর্তৃপক্ষ এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

লেকের ফুটপাত দিয়ে হাঁটছিলেন রুবেল নামের এক পথচারি। তিনি বলেন, ক’দিন আগেও ভয়ঙ্কর ‍অবস্থা ছিল। দু’পাশে ফুটপাত তৈরি হওয়ায় আমাদের একটু স্বস্তি হয়েছে। এখন একটু নিঃশ্বাস নেওয়া যায়।

লেকে বেড়াতে এসেছেন স্কুল পড়ুয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে একজন এরফান জানালেন, স্কুল শেষে বন্ধুরা মিলে ঘুরতে এসেছি। ফুটপাত হওয়ায় এ সুযোগ  পাচ্ছি।

লেকের মাঝখান দিয়ে গুলশান-লিংক রোড। আগের মতো সড়কের দু’পাশে ফুটপাতের রমরমা ব্যবসা আর চোখে পড়লো না। তবে লেকের লিংক রোড সড়ক থেকে শাহজাদপুর ঝিলপাড় অংশের অবস্থা কিছুটা বেহাল। এখানে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সবজিসহ নানা ধরনের ফল বিক্রি করছেন।
গুলশান লেকের চারপাশে যেন ময়লার মেলা। একদিকে লেক পরিষ্কার করা হচ্ছে অপরদিকে সমান তালে চলছে দূষণ। তবে আগের চেয়ে লেকের পরিবেশ উন্নত হয়েছে এমনটিই জানালেন স্থানীয়রা।

সেখানকার বাসিন্দা রাহেলা রহমান বলেন, লেকের পাশেই আমার বাসা। সারাদিন উৎকট গন্ধ নাকে আসতো। এখন অনেক কমে গেছে। যেভাবে কাজ চলছে তাতে হয়তো ভবিষ্যতে লেকের পাশের মনোরম পরিবেশ আমরা উপভোগ করতে পারবো।

এ সম্পর্কে ২১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. উসমান গণি বলেন, লেকের ময়লা অপসারণ করে সৌন্দর্যবর্ধনে কাজ করে যাচ্ছে রাজউক। আমরা তাদের সহযোগিতা করছি। রাজধানীর ‍মানুষের জন্য বিনোদনের স্থান করে দিতে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বিকেল হলেই এখন শত শত মানুষ লেকে বেড়াতে আসেন। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে লেকের পাশের মুক্ত বাতাসে কিছুটা বিনোদন পাবেন গুলশানবাসী।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৬
জেডএফ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।