দিনাজপুর: ১৩ ডিসেম্বর স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পের সন্ধান না দেওয়ায় ৩৬ জন অসহায় গ্রামবাসীকে হত্যা করা হয়। এরমধ্যে ৩৫ জনকে একত্রিত করে গণকবর দেওয়া হয়।
সেই দিনের চিত্র বাংলানিউজের কাছে তুলে ধরলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার রহমান আলী। তিনি জানান, ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার কিছু আগে উপজেলার ভান্ডারা ইউনিয়নের এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে দিনাজপুর শহরের দিকে যাচ্ছিল পাক হানাদার বাহিনীর একটি দল। তারা কাঞ্চন রেল ব্রিজ সংলগ্ন বহলা গ্রামে গিয়ে পাশ্ববর্তী সারাঙ্গাই পলাশবাড়ির মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের সন্ধান চায়। বহলা গ্রামের সবাই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের সন্ধান দিতে অস্বীকার করে। এতে পাক বাহিনী বহলা গ্রামটি পুরোটা ঘিরে সকল পুরুষদের আটক করে। এমন সময় মাগরিবের আযান দেয়। আটকৃতদের মধ্যে অনেকে নামাজ পড়ার অনুমতি চাইলেও দেওয়া হয়নি নামাজ পড়তে। ঠিক সে সময় আটক ৩৬ জন পুরুষকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। এরমধ্যে একজনকে তারা অনত্র নিয়ে হত্যা করে। বাকিদের স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা গণকবর দেন।
স্থানীয় হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এই দিনটি এলে অত্র গ্রামে কালো আধার নেমে আসে। স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা পায়নি। যে ৩৬ জন মুক্তিযোদ্ধের ক্যাম্পের সন্ধান না দেওয়ায় প্রাণ দিয়েছে তাদের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করা হোক বলে স্থানীয়রা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৬
এনটি