ভোলা: পিছিয়ে পড়া জেলে নারীদের আত্মকর্মসংস্থান হিসেবে ভোলায় শুরু হতে যাচ্ছে খেলনা তৈরির (কুশিকাটার মাধ্যমে) প্রশিক্ষণ।
জেলা সদরের কোড়ালিয়া, বলরাম শুরা এবং লালমোহন উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ও ফরাসগঞ্জ গ্রামে নারীদের বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হব।
এ চার গ্রামের ৩৫০ নারীকে দুই মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে একদিকে যেমন তারা বাড়তি মুনাফা অর্জন করতে পারবে অন্যদিকে পরিবারে ফিরে আসবে স্বচ্ছলতা। ভাগ্য বদলের মাধ্যমে তাদের দরিদ্রতা দূর হবে বলে মনে করছেন এই নারীরা।
ভোলা সদর ও লালমোহন উপজেলায় এ সংক্রান্ত দু’টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কোস্ট ট্রাস্টের ইকোফিশ ও হাতে বুনানো সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় হাতে বুনানোর রুরাল সেন্টার ম্যানেজার রেজওয়ান কাওসার, কোস্ট ট্রাস্ট ম্যানেজার টিএস সোহেল মাহমুদ, মো. সামিরুজ্জামান, ফিল্ড অফিসার মো. মিঠুন মল্লিক, কমিউনিটি মোবিলাইজার রুমা প্রমুখ।
এ সময় তারা বলেন, ২০০৪ সালের দিকে মহীয়সী নারী সামান্থা মোরশেদ ও গোলাম মোরশেদের হাত ধরে হাতে বুনানোর খেলনার পথচলা শুরু হয়। প্রথমে মাত্র ১২ জন নারী এ কার্যক্রম শুরু করেন।
বর্তমানে ১২ হাজার নারী বিশ্বমানের হাতে তৈরি খেলনা তৈরি করে আসছেন। নারীদের তৈরি এসব খেলনা আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইটালি, নেদারল্যান্ড, জার্মানি, কোরিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের ৩৭টি দেশে রপ্তানি হয়ে আসছে।
জেলে নারীদের মধ্যে ফরাজগঞ্জ গ্রামের সাহিদা বলেন, প্রশিক্ষণ নিয়ে আমরা বাড়তি টাকা উপার্জন করতে পারবো এবং অনেকেই আগ্রহ নিয়ে ঝুঁকে পড়বে এ কাজে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, বিনা খরচে প্রশিক্ষণ শেষে উন্নতমানের কাঁচামাল সরবরাহ করা হবে এবং খেলনা তৈরির পর তাদের নির্দিষ্ট মজুরি দেওয়া হবে।
এদিকে, প্রশিক্ষণ নিয়ে নতুন করে বিকল্প জীবিকায়নের মাধ্যমে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন ভোলার নারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৬
আরএ