ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা ছবি: সংগৃহীত

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকা: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

 

এসময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল শহীদদের স্মরণে গার্ড অব অনার প্রদান করে।

বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় শহীদদের স্মরণে বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়।

সাতটার কিছু আগে প্রধানমন্ত্রী শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে আসেন। স্মৃতিসৌধ চত্তরে পৌঁছালে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক ও সাঈদ খোকন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।  

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পৌঁছেই শেখ হাসিনা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবী সন্তান এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য ও সন্তান এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে আবেগাফ্লুত হয়ে পড়েন। প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্তনা দেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তানদের চোখের জল মুছে বুকে টেনে নেন প্রধানমন্ত্রী।

এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ স্মৃতিসৌধে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানান।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতিও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তান ও যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

এসময় শেখ হাসিনা মন্ত্রী সভার সদস্য ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর শহীদ বেদীকে একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ আওয়ামী লীগ শীর্ষ নেতাদের নিয়ে ১৪ দলীয় জোট, শহীদ পরিবারের সদস্যরা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ ছেড়ে যাওয়ার পর শ্রদ্ধা নিবেদনে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

এ সময় ভোর থেকে অপেক্ষারত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজারো মানুষে ঢল নামে। কালো পোশাক কিংবা কালো ব্যাজ পরে ফুল নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন তারা। ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ, তরুণ, তরুণী সব বয়সী মানুষ শ্রদ্ধা জানান।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাদের নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ দলটির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সিপিবি, বাসদ, জনসংহতি, গণফোরাম, এলডিপি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলা একাডেমি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, মন্ত্রণালয়, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬/আপডেট: ১২২৫ ঘণ্টা 
এমইউএম/এসটি/এসএনএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।