ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুর্যোগে জরুরি সাড়া দিতে ডিএনএ সফটওয়্যার-হ্যাজার্ড ম্যাপ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
দুর্যোগে জরুরি সাড়া দিতে ডিএনএ সফটওয়্যার-হ্যাজার্ড ম্যাপ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া

দুর্যোগ মুহূর্ত ও পরবর্তীতে আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর কার্যকর সাড়া দিতে ডিএনএ সফটওয়্যার-হ্যাজার্ড ম্যাপ তৈরি করেছে সরকার।

ঢাকা: দুর্যোগ মুহূর্ত ও পরবর্তীতে আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর কার্যকর সাড়া দিতে ডিএনএ সফটওয়্যার-হ্যাজার্ড ম্যাপ তৈরি করেছে সরকার।
 
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে হোটেল অবকাশ-এ ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি, চাহিদা সম্পর্কিত তথ্য (ডিএনএ), বহুমুখী আপদের ঝুঁকি ও বিপদাপন্নতা নিরূপণ বিষয়ক মানচিত্র (হ্যাজার্ড ম্যাপ)’ উন্মোচন করা হয়েছে।


 
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া কর্মশালায় ডিএনএ ও হ্যাজার্ড ম্যাপ উন্মোচন করেন।
 
মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ চলাকালে ও পরবর্তীতে আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর জন্য কার্যকর সাড়া, ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর পুনরুদ্ধারের রূপরেখা প্রণয়নের প্রধান শর্ত জরুরি চাহিদা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ। ডিজাস্টার নিড অ্যাসেসমেন্ট বা ডিএনএ রিপোর্টের আলোকে দুর্যোগ ত্রাণ তৎপরতা পুনরুদ্ধার, পুনঃনির্মাণ করা হয়।
 
‘অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, সঠিক নির্দেশনা এবং ফরম পূরণে স্বচ্ছতা না থাকায় নানা ধরনের বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হয়। এতে জরুরি সাড়া ও পুর্নবাসনের প্রকৃত রূপরেখা প্রণয়নে জটিলতা সৃষ্টি হয়। ’
 
মন্ত্রী জানান, অনলাইনভিত্তিক এ সফটওয়্যারটি কম্পিউটার কাউন্সিলে সংরক্ষিত থাকায় তথ্যগুলো আর্কাইভে পাওয়া যাবে। বিশ্লেষণেও কাজে লাগবে। এতে প্রতিটি উপজেলার সাধারণ সময়ের ইমেজ গ্রহণ করা হয়েছে, যা দুর্যোগ পরবর্তীতে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ করবে।
 
সফটওয়্যারটি জনগণের জন্য সহজতর করতে মোবাইল অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে বলেও জানায় অধিদপ্তর।
 
হ্যাজার্ড ম্যাপ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও দ্রুত সাড়া দিতে দেশব্যাপী উপজেলাভিত্তিক হ্যাজার্ড ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে।
 
আটটি প্রধান দুর্যোগ- সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, খরা, লবণাক্ততা, ভূমিকম্প, স্বাস্থ্যগত দুর্যোগ ও রাসায়নিক আপদের ম্যাপ তৈরির ফলে কোন এলাকায় কী ধরনের আপদ এবং কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে, কত বছর পর পর এ ধরনের ক্ষতির পুনরাবৃত্তি হতে পারে, এজন্য কী ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া যেতে পারে- তা ম্যাপ থেকে জানা যাবে।
 
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় পিসিএমইউ, ইসিআরআরপি’র (সাইক্লোন রিকভারি অ্যান্ড রেস্টোরেশন প্রজেক্ট: প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেশন অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিট (ইসিআরআরপি: পিসিএমইউ) মহাপরিচালক নজরুল ইসলাম, ইসিআরআরপি-১’র প্রকল্প পরিচালক এম খালিদ মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
এমআইএইচ/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।