ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নলডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস ১৪ ডিসেম্বর  

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
নলডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস ১৪ ডিসেম্বর  

১৪ ডিসেম্বর নাটোরের নলডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিন মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর ও মুজাহিদদের কবল থেকে মুক্ত করে নলডাঙ্গাকে। 

নাটোর: ১৪ ডিসেম্বর নাটোরের নলডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিন মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর ও মুজাহিদদের কবল থেকে মুক্ত করে নলডাঙ্গাকে।

 

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে পতাকা উত্তোলন, আনন্দ শোভাযাত্রা,পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা ও  দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।  

এলাকাবাসী জানান,  ১৯৭১ সালের এই দিনে নলডাঙ্গায় শুরু হয় হানাদারদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করার প্রতিরোধ লড়াই। সকালে রেল লাইনে উপড়ে ফেলে বারনই নদীর উত্তর পার্শ্বে বাঙ্কার খনন করে অবস্থান নেন মুক্তিযোদ্ধারা।  

এই খবরে বাসুদেবপুর থেকে ট্রেনে নলডাঙ্গার উদ্দেশ্যে রওনা দেন পাকিস্তানি সেনারা। পথে নওপাড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছালে লাইন উপড়ে ফেলা দেখে তারা ট্রেন থেকে নেমে মার্চ করতে করতে নলডাঙ্গা স্টেশন প্লাটফর্মের দিকে যেতে থাকে।  

এ সময় স্টেশন প্লাটফর্মে ওঠা মাত্রই মুক্তিযোদ্ধারা শুরু করেন গুলি বর্ষণ। পাকিস্তানি সেনারাও পাল্টা গুলি বর্ষণ করেন। প্রায় ৮ ঘণ্টাব্যাপী চলে সম্মুখ যুদ্ধ। পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধ চলে, পরে গুলি ফুরিয়ে গেলে মুক্তিযোদ্ধারা অন্যত্র সরে যান।  

এই সুযোগে পাকিস্তানি সেনা ও দোসর রাজাকাররা গ্রামে ঢুকে লুটপাট সহ বাড়ি ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেন। গুলি করে হত্যা করেন গাংগইল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাককে। খবর পেয়ে এয়ার মার্শাল আবুল বাশার ও খালেদ মোশারফ দুটি বিমান নিয়ে আকাশে টহল দিতে থাকেন।  

একপর্যায়ে বিমান থেকে গুলি বর্ষণ ও বোমা ছুড়তে থাকলে পরাস্ত হয় পাকিস্তানি সেনারা। এসময় বেশ কিছু সংখ্যক সেনা মারা যান। তবে, এই যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ মারা না গেলেও এলাকার মানুষের বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ ও লটপাটের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়। শত্রু মুক্ত হয় নলডাঙ্গা।  


নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জাহান বাংলানিউজকে জানান, এদিবসটি স্মরণে গত কয়েক বছরের মতো এবারও উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন পতাকা উত্তোলন, আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
পিসি/


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।