ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১২ দিন পরও মেয়ের খোঁজ পাননি বাবা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
১২ দিন পরও মেয়ের খোঁজ পাননি বাবা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

যৌতুকের টাকা চেয়ে প্রায়ই হেলেনাকে মারধর করতো স্বামী আরিফ। বিয়ের পর থেকেই চাইতো যৌতুকের টাকা। এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গর্ভবতী অবস্থায় স্বামীর বাড়ি থেকে চলে আসেন হেলেনা।

ঢাকা: যৌতুকের টাকা চেয়ে প্রায়ই হেলেনাকে মারধর করতো স্বামী আরিফ। বিয়ের পর থেকেই চাইতো যৌতুকের টাকা।

এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গর্ভবতী অবস্থায় স্বামীর বাড়ি থেকে চলে আসেন হেলেনা। নিজে বাদী হয়ে গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুকবিরোধী আইনে একটি মামলা (এসিআর-৯৪২/১৬) দায়ের করেন স্বামী আরিফ হোসেনের নামে।

 

এরপর থেকেই মামলা তুলে নেওয়া জন্য চলতে তাকে হুমকি। ৫ ডিসেম্বর সকালে বাড়িতে হামলা চালিয়ে হেলেনাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। ১২ দিন হেলেনার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

 

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) কান্না জড়ানো কণ্ঠে কথাগুলো বলেন নিখোঁজ হেলেনার খাতুনের বাবা মো. এখলাছ খান হিরণ।

২০১৪ সালের ৩ অক্টোবর জয়দেবপুরের হাতিয়াব দক্ষিণপাড়া এলাকার হেলেনা খাতুনের সঙ্গে আফির হোসেনের বিয়ে হয়। আরিফ জয়দেবপুরের ভাওরাইদ গ্রামের নুর মোহাম্মদ আলীর ছেলে। বর্তমানে হেলেনার আড়াই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।  

এখলাছ খান হিরণ বলেন, প্রথম প্রথম ৫শ/১ হাজার টাকা দিতাম। যেদিন টাকা চেয়ে পেত না সেদিন বেশি মারধর করতো। পরে খবর নিয়ে দেখি আরিফ নেশা করে। এসব নির্যাকতন সহ্য করতে না পেরে হেলেনা বাবা বাড়ি চলে যায়। পরে গাজীপুর সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি যৌতুকবিরোধী মামলা দায়ের করে। -যোগ করেন হেলেনার বাবা।

তিনি বলেন, ওই মামলায় আরিফ চলতি বছরের ৫ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কিছু সহযোগী নিয়ে আমার বাড়িতে এসে হামলা চালান। এসময় আমার স্ত্রী ও মেয়েকে প্রচুর মারধর করেন। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেন। এসময় আমার স্ত্রী কুলসুম বেগম মেয়েকে বাঁচাতে গেলে তাকেও লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এরপর আমার মেয়েকে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এখন আমার মেয়ে কোথায় আছে, কি অবস্থায় আছে তার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।

এ বিষয় জয়দেবপুর থানায় অভিযোগ করলে অনেক পুলিশ আরিফ হোসেন (২৮) নুর মোহাম্মদ আলী (৫০) ও তার চাচা মো. আলালকে (২৮) আসামি করে একটি মামলা রেকর্ড করে।

পুলিশ তদন্ত করছি বলে বারবার আশ্বাস দিলেও এখনও আমার মেয়ের কোনো খবর পাইনি।

এ বিষয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসওয়াদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, একটি মারামারি সংক্রান্ত মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। আসামি বর্তমানে জামিনে।

তিনি বলেন, ওই মেয়েকে (হেলেনা) জোরপুর্বক তুলে নেওয়া হয়েছে- এমন কিছু নথিভুক্ত হয়নি। তবে মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
এসজেএ/এ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।