ঢাকা: মামলা সূত্রে দেখা গেছে, দেশে ধর্ষণ চেষ্টার সবচেয়ে বেশি শিকার হন গৃহিনীরা। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিবেশী পুরুষরাই ধর্ষণের চেষ্টা করে থাকে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ পরিচালিত ২০১৫ সালের সমীক্ষায় এ চিত্র উঠে আসে।
বাংলাদেশে নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতন চিত্র–নামে এ সমীক্ষা তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে ৯০টির মধ্যে ৬৫টি ধর্ষণ চেষ্টা করা হয় গৃহিনীদের উপর।
এর মধ্যে ৩৮ শতাংশ গ্রাম পর্যায়ে, উপজেলায় ৩৪, জেলা শহরে ১১ এবং মহানগর এলাকায় ১৬ শতাংশ ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটে।
সমীক্ষা তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ধর্ষণ চেষ্টায় বিফল হয়ে ভুক্তভোগী নারী বা কন্যাশিশুকে শারীরিক-মানসিক-সামাজিক ও অথনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলা হয়।
প্রাপ্ত বয়স্ক ৩০ জন নারীর মধ্যে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৩ শতাংশ নারী। হত্যা করা হয়েছে ৩ শতাংশ নারীকে। আহত করা হয়েছে ৬.৬ শতাংশ নারীকে এবং মানসিকভাবে অসুস্থ হয়েছে ৩ শতাংশ নারী, উল্লেখ করা হয় সমীক্ষায়।
সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে, এসব ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে খুব সামান্য ক্ষেত্রে। ৪ দশমিক ৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ৫.৫ শতাংশ ভুক্তভোগী নারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। টাকার বিনিময়ে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে ১ শতাংশ ক্ষেত্রে।
পর্যালোচিত সময়ে দেখা যায়, ৬১ দশমিক ৫ ভাগ ক্ষেত্রে ধর্ষণ চেষ্টায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
আরএ/এটি