ঢাকা: চৌমুহনী হলেও এখনো তিন রাস্তার মোড় নামেই পরিচিত। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিমেই তিন রাস্তার মোড়।
মোহাম্মদপুর ও গাবতলী থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চলাচলের বাসগুলোর শেষ গন্তব্য হয় এখানে। রয়েছে ট্রাকের সারিও। রাতে বাস পার্কিং করে অনেক ড্রাইভার ও হেলপাররা খাবার সেরে নিচ্ছেন তিন রাস্তার মোড়ে।
মূলত বাসের ড্রাইভার ও হেলপারদের পুঁজি করেই এখানে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি দোকান। যেগুলো খোলা থাকে ২৪ ঘণ্টাই। বিরিয়ানি আর ভাতের হোটেল ছাড়াও রয়েছে পরোটা-সবজির দোকান, ফলের দোকান আর চা-বিস্কুটের খুচরা দোকান।
মোড়ের উত্তর পশ্চিম কোণায় আবদুল হাকিমের চায়ের দোকান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘এখনে সব ঢাকার ভিতরে চলা বাস রাতে এসে স্ট্যান্ড করে। আর ট্রাকগুলো বেশিরভাগ সময় হয় চালক বদলায়, না হলে এখানে কিছুক্ষণের বিরতি নেয়। ’
তাই এখানে দোকানগুলোর কাস্টমার বলতে মূলত গাড়ির ড্রাইভার আর হেলপাররা। দিনের বেলাতে সব ধরনের কাস্টমারই থাকে। তবে রাতের বেলা পরিবহনের মানুষ ছাড়া দেখা যায় না। ৪ মাস আগে এই দোকান ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছেন হাকিম ও তার ভাই। মাসে ৩ হাজার টাকা ভাড়া ছাড়াও রয়েছে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সিলিন্ডারের খরচ।
এই দোকানে পণ্য বলতে কিছু বেকারির বিস্কুট, কেক, চানাচুর, চিপস, চা, সিগারেট। বেশিরভাগ পণ্যই বিতরণকারীরা পৌঁছে দেন। সেখানে বিসিমিল্লাহ বিরিয়ানি হাউজে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকেও বেশ সরগরম দেখা যায়। বড় পাতিলের ভেতর প্লেট দিয়ে নাড়া হচ্ছে বিরিয়ানি।
বাসচালক কবির বলেন, ‘ঢাকায় জ্যামের জন্যেই অনেক সময় বাস রেখে খাওয়া হয় না। আবার স্টেশনে পৌঁছালেই মানুষ দৌড়ে বাসে উঠে। আমাদের আর খাওয়ার সময় পাওয়া যায় না। এখানেই অনেক সময় খেয়ে বাসায় যান বলেও জানান তিনি।
রাজা সিটি বাসের হেলপার নুরুল বলেন, ‘এই তো এখন রাত দেড়টায় বাস এসে স্ট্যান্ড করছি। আবার ভোর রাতেই চালু হবে। ’
সাধারণত বাসের সিটেই লম্বা হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন হেলপাররা। তার আগে পরোটা ডিমসহ পছন্দের খাবার খেয়ে নেন তারা।
সারা রাতই সরগরম থাকে তিন রাস্তার মোড়। ফল বিক্রেতা আনিস বলেন, ‘এখানে রাস্তা চারটা, কিন্তু বলা হয় তিন রাস্তার মোড়। এর ঘটনা আমিও জানি না। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
এমএন/টিআই