ঢাকা: বনজ ওষুধ তৈরির ব্যবসা থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন নাসির আহম্মেদ (৫৫)। দিনে প্রায় ৫০০ ইয়াবা উৎপাদিত হতো ওই কারখানায়।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন ওয়ারী বিভাগের উপ- কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।
এর আগে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ডেমরার সারুলিয়ার টেংরা মা মোরিয়াল স্কুল রোডের আমতলা গলি থেকে এই ইয়াবা তৈরির কারিগরকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ১১১০ পিস ইয়াবা ট্যবলেট, ১ টি ইয়াবা তৈরির হ্যান্ড মেশিন, ১টি ডাইস, ১টি হিটার মেশিন, ১টি আর্দ্রতারোধক মেশিন, ২৮ কেজি ৭৫০ গ্রাম পাউডারসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে পুলিশ।
সংবাদ সসম্মলনে ডিসি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, নাসির নিজেও একজন ইয়াবাসেবী। গত ১ বছর যাবৎ তিনি ইয়াবা তৈরির কাজ করছিলেন। এর আগে এই নাসির বনজ ওষুধ তৈরির ব্যবসা করতেন। তিনি তার পূর্বের ব্যবসা বন্ধ করে এই ইয়াবার কারখানা চালু করেন।
বনজ ওষুধের ব্যবসার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নাসির ইয়াবা তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন। আর তৈরির সব সরঞ্জামাদি তিনি লোকাল মার্কেট থেকে সংগ্রহ করতেন বলেও জানানা ডিসি ফরিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে নাসির জানিয়েছে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ পিস ইয়াবা তিনি তৈরি করতে পারতেন। তার কাছ থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে কিনে খুচরা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতো। এছাড়াও তিনি ডেমরাসহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গাতে ইয়াবা সাপ্লাই দিতেন।
এই চক্রে মোট ৮ জন রয়েছে বলেও আসামী নাসির জানিয়েছে। এর আগে দুই ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়, তাদের তথ্যের ভিত্তিতে নাসিরকে গ্রেফতার করা হয়, যোগ করেন ডিসি।
তিনি বলেন, এই চক্রের মূল কারিগর আব্দুল্লাহ পলাতক রয়েছেন। তাকে এবং বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। উদ্ধারকৃত সরঞ্জামাদি দিয়ে প্রায় ৪ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট তৈরি করা সম্ভব ছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
এসজেএ/এমজেএফ