ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিমানের ৯ কর্মকর্তার মধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। অপর দু’জন আদালতে আত্মসর্মপণ করেছেন।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত থেকে রাজধানীর উত্তরা ও রমনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (ডিসি মিডিয়া) মাসুদুর রহমান।

কাউন্টার টোরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বিমানের একটি তদন্ত অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করা হয়। পেনাল কোডের কয়েকটি ধারা এবং স্পেশাল কোর্ট অ্যাক্ট-এ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।  

মামলাটি রুজু হওয়া পর বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে তদন্তের দায়ভার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কাছে দেওয়া হয়।  

সন্ধ্যা থেকেই তদন্তকারী কর্মকর্তারা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ৯ জনকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করেন। বুধবার রাতেই মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।  

বৃহস্পতিবার সকালে তাদের দশদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে আসলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।  

বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটির পেছনে তাদের কি উদ্দেশ্য ছিলো? এবং ঘটনার সঙ্গে তারা ছাড়া অন্য কেউ জড়িত কি-না বা কোনো যোগসাজেশ রয়েছে কি-না? এ বিষয়গুলো আমরা বের করার চেষ্টা করবো।  

তিনি বলেন, বলে রাখা ভালো, এর আগে এই ঘটনায় একটি তদন্ত অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। তাদের দেওয়া প্রতিবেদনে এ ৯ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন আমাদের দায়িত্ব এখানে গ্রেফতার আসামিদের কার কি ভূমিকা ছিলো। এবং এই ৯ জনের বাইরে আর কারো ভূমিকা রয়েছে কি-না? এটা কোনো বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ কি-না? সে বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হবে। ইতোমধ্যে আমরা কাজটি শুরু করেছি।  

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, প্রথমে ঘটনাটির অনুসন্ধানকারী কমিটিই তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। তাই জড়িত থাকার বিষয়টি তাদের অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।  

মনিরুল ইসলাম বলেন, যেহেতু এখানে তাদের অবহেলা ছিল, সেই প্রমাণ অনুসন্ধানকারী কমিটি পেয়েছে। সুতরাং এ ঘটনার মোটিভ খুঁজে বের করাই আমাদের কাজ।  

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কৃত তিনজন হলেন- প্রধান প্রকৌশলী (প্রডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এস এ সিদ্দিক ও প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ডসিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন। আর সাময়িক বহিষ্কার চারজন হলেন- সামিউল হক, লুত্ফুর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস ও জাকির হোসাইন।

বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৬/আপডেট: ১৪০৬ ঘণ্টা
এসজেএ/জেডএস

** প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটির মামলায় অপর ২ জনের আত্মসর্মপণ

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৬
এসজেএ/জেডএস