আশুলিয়া (ঢাকা): পোশাক কারখানায় নাশকতার চেষ্টাকারী শ্রমিকরা কোনো গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি পাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় চলমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় এখনো মাঠে রয়েছে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
কারখানার সামনে অন্য দিনের মতো পুলিশ, বিজিবি সদস্য, র্যাব, আর্মড পুলিশসহ সদস্যরা অবস্থান করেছেন। এছাড়া শ্রমিকদের নিজ নিজ বাসায় ফিরে যেতে করা হচ্ছে মাইকিং।
পুলিশ সুপার বলেন, বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষের জের ধরে ৫৫টি কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয় বিজিএমইএ। তবে এর বাইরেও আরো কয়েকটি কারখানা বন্ধের খরব পাওয়া গেছে। এরই প্রেক্ষিতে এক হাজার শিল্প পুলিশ, বিজিবি ১৫ প্লাটুন, ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক হাজার পুলিশ সদস্যসহ বিপুল সংখ্যক র্যাব সদস্য কাজ করে যাচ্ছে।
আশুলিয়ার পুরো এলাকাটি দশটি সেক্টর এবং বিশটি সাবসেক্টরে ভাগ করে টহল অব্যাহত রয়েছে। যারা সুযোগ কাজে লাগিয়ে আশুলিয়া এলাকাটিকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল তাদের অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে। ইতোমধ্যেই তিনটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। যারা সমস্যা তৈরি করেছে অনেককেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদেরকে যে কোনো সময় আটক করা হবে। ইতোমধ্যেই এঘনায় জড়িত থাকা, নাশকতার চেষ্টা করা,ইন্ধন যোগানকারী ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জন এজাহার ভূক্ত আসামি রয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরো প্রায় সাত শতাধিক শ্রমিকের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়াও বিজিএমইকে তালিকা দিতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হবে। যাতে করে এসমস্ত শ্রমিকরা যেন কোনো শিল্প কারখানায় চাকরি না পায় এবং কোনো ঝামেলা করতে না পারে।
পুলিশ জনগণের বন্ধু। সরকারের নির্দেশে আমরা শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও আস্থা অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। অতীতে এখানে অনেক ভাংচুর ও রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছে। এবারো এধরনের নাশকতার চেষ্টা করা হয়েছে, তাদের এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিতেই আমদের এই কর্মকাণ্ড।
কারখানা কবে নাগাদ খোলা হবে এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, সাধারণ শ্রমিক ও বিজিএমইএ আলাপ করে এক সিদ্ধান্তে পৌছালে কারখানা খুলতে পারবে এবং কাজ করতে পারবে। সে ক্ষেত্রেও আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো। তবে সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৬
বিএস