রাজশাহী: রাজশাহীর পুঠিয়ায় কৃষক খুনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের বড় ভাই আবুল কাশেম বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
এর মধ্যে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক মরিয়ম বেগম (৪৫) একই গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের স্ত্রী । তিনি এই হত্যা মামলার তিন নম্বর আসামি। তাকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে ঘটনার পর থেকে তার স্বামী মোজাম্মেল হোসেন ও ছেলে জসিম উদ্দিন পলাতক। পুলিশ তাদের খুঁজছে।
জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। তবে একটি পুকুর লিজ নিয়ে তাতে মাছ ছাড়াকে কেন্দ্র করে কোনো একটি পক্ষের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব ছিল কীনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহীর পুঠিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) রাকিবুল হাসান বাংলানিউজকে জানান, বিভিন্ন আলামত, পরিবার ও আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আটক নারী মরিয়ম বেগমের সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল আমজাদের। এর জের ধরে হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। ঘটনার পর থেকে মরিয়মের স্বামী ও ছেলে পলাতক থাকায় সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে।
তবে কৃষিকাজের পাশাপাশি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতেন আমজাদ হোসেন। একে কেন্দ্র করে কারও সঙ্গে তার কোনো দ্বন্দ্ব ছিল কীনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হাসান আরও বলেন, আমজাদ হোসেনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়েরকে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (২১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের সাধনপুর লেপপাড়া গ্রামে কুপিয়ে খুন করা হয় কৃষক আমজাদ হোসেনকে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আয়েন উদ্দীনের ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৬
এসএস/জেএম