গাজীপুর: গাজীপুরে বাংলাদেশ টার্কি বার্ডস ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’র (বিটিবিডিএ) আয়োজনে টার্কি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সালনা এলাকায় এ উৎসব অনুঠিত হয়।
টার্কি চাষি ও বিটিবিডিএ এর সহসভাপতি শাকিল আহমেদ অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। এ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. সুবাস চন্দ্র দাস।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি শাখার সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার মো. রেজাউল করিম মিয়া, বিটিবিডিএ এর সভাপতি প্রকৌশলী মো. শাহীন হাওলাদার ও বিটিবিডিএ এর সদস্য সচিব মো. জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, টার্কি গৃহপালিত পাখি। দেখতে মুরগির মতো আকারে অনেক বড় গায়ের রং কালো মাথার অংশ লাল। এর উৎপত্তি উত্তর আমেরিকায়। টার্কি পৃথিবীর সব দেশে প্রায় পালন করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাদ্য তালিকায় অন্যতম উপাদান টার্কি। ছয় থেকে সাত মাস বয়সে টার্কি ডিম দেয়। ছয়মাসের মেয়ে টার্কির ওজন হয় সাড়ে তিন থেকে সাড়ে চার কেজি পুরুষগুলো প্রায় ছয় কেজি। মুরগির মাংসের মতো টার্কি রান্না করা হয়। রোস্ট ও কাবাব করা যায়।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি শাখার সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার মো. রেজাউল করিম মিয়া জানান, মাংস উৎপাদনের জন্য টার্কির সাতটি আদর্শ জাত রয়েছে। পাখি জাতীয় মাংস উৎসের মধ্যে হাঁস, মুরগি, তিতির, কোয়েলের পর টার্কি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। টার্কির মাংস অন্যান্য পাখির মাংস থেকে কম চর্বিযুক্ত, তাই অন্যান্য পাখির চেয়ে টার্কির মাংস অধিক পুষ্টিকর।
বাংলাদেশ টার্কি বার্ডস ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিবিডিএ) সভাপতি প্রকৌশলী মো. শাহীন হাওলাদার জানান, টার্কি উৎসব বাংলাদেশে এবারই প্রথম। টার্কি চাষ বাংলাদেশে ধীরে-ধীরে বাড়ছে। তবে অধিকাংশ চাষিরা সঠিকভাবে চাষ করতে পারে না। ফলে চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হন। চাষিদের সচেতনতার জন্যই টার্কি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে টার্কি চাষি, টার্কি ব্যবসায়ী, প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৬
আরএস/টিআই