ঢাকা: রাজধানীর অন্যতম একটি স্থান গুলিস্তান। যেখানে দিনে-রাতে সমানভাবে সর্বস্তরের মানুষের পদচারণা।
সরেজমিন শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে গুলিস্তান। অন্যদিকে জিরো পয়েন্ট থেকে গোলাপ শাহ মাজার হয়ে ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন দেখা গেছে।
তবে গুলিস্তানে আলোকসজ্জা না থাকলেও সচিবালয়, বায়তুল মোকাররম মসজিদ, রাষ্ট্রপতির বাস ভবন ও নগরভবনে আলো জ্বলতে দেখা গেছে। ফলে ল্যাম্প পোস্টের বাতি না জ্বলায় গুলিস্তান যেন পরিণত হয়েছে এক গভীর জঙ্গলে।
রাত সাড়ে ১২টা। গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চা বিক্রি করেন ফয়সাল ইসলাম। পুরো এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন কেন জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সচিবালয়ের অংশে বিদ্যুৎ আছে কিন্তু জিরো পয়েন্ট এলাকায় নেই। তবে কেন বিদ্যুৎ নেই সেটা জানি না। প্রায়ই এমন অন্ধকার পরিবেশ সৃষ্টি হয় বলে জানান তিনি। ফলে রাতে পথচারী কিংবা ভাসমান ব্যবসায়ীদের অনেক সময় ছিনতাইকারীর খপ্পরে পড়তে হয়। অনেকেই আবার সবকিছু হারিয়ে খালি হাতেই গন্তব্যে ফেরেন। এছাড়া জিরো পয়েন্ট জুড়ে অন্ধকার থাকায় স্থানটি এখন নিরাপদ নয় বলেও তিনি জানান।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সামনে কথা হয় পথচারী স্বাধীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, অফিসে কাজ বেশি থাকায় বের হতে দেরি হয়েছে। আর এখানে অটোরিকশার জন্য প্রায় ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি, কিন্তু কোনো আটোরিকশাও পাচ্ছি না। শুধু তাই নয়, সামনের এলাকাটি অন্ধকার থাকায় সাহস করে সামনের দিকেও এগিয়ে যেতে পারছি না।
রাত প্রায় ২টা। গোলাপ শাহ মাজারজুড়ে অন্ধকারে ঢাকা। তবে মাজারের মধ্যে জ্বলছে কিছু মোমবাতি। যে আলোয় ভক্তকুল মাজারে বসে বসে জিকির করছেন। গোলাপ শাহ মাজারের সামনে কথা হয় এক ভক্ত মিজানের সঙ্গে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে পুরো অঞ্চলটি অন্ধকারে ঢাক। কখন বিদ্যুৎ চলে গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাত প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যুৎ গেছে। তারপর থেকে পুরো এলাকা অন্ধকার।
অন্যদিকে গুলিস্তান বাসস্ট্যান্ডের সামনে টহল পুলিশ সদস্যরা বলেন, বেশকিছুক্ষণ ধরে বিদ্যুৎ নেই। ফলে পুরো এলাকা অন্ধকারে পরিণত হয়েছে। তবে কেন বিদ্যুৎ নেই এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। কিন্তু আশপাশে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে তারা তৎপর রয়েছেন বলে বাংলানিউজকে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪,২০১৬
এসজে/আরএ