ঢাকা: জঙ্গি তানভীর কাদেরীর ছেলে আফিফ কাদেরী আটকা পড়েছে রাজধানীর দক্ষিণখানের জঙ্গি আস্তানায়। সেখানে পুলিশের অভিযান চলছে।
বাংলানিউজ জানতে পেরেছে প্রতিবেশী কিশোরদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে তাদের সুবিধামত জিহাদের আহ্বান জানাতো এই কিশোর আসিফ কাদেরী। কেউ রাজি না হলে তাকে প্রচ্ছন্ন হত্যার হুমকিও দিতো সে।
দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকায় নিজেকে শহীদ বলে পরিচয় দিয়েছিলো আফিফ কাদেরী।
কিশোরদের প্ররোচনা দিয়ে সে বলত, এ পথে আস, এ পথে আসলে মানুষ মেরে ফেলতে হবে। আর না আসলে নিজেই মরতে হবে।
আশকোনা এলাকার অপর এক কিশোর বাংলানিউজকে এসব কথা জানিয়েছে।
নিরাপত্তার স্বার্থে নামটি বাংলানিউজে প্রকাশ করা হলো না। তবে কিশোরটি ওই এলাকায় একটি দোকানে কাজ করে। বাজার করতে গিয়েই তার সঙ্গে সখ্য গড়ার চেষ্টা করে শহীদ (অাফিফ কাদেরী)।
ছেলেটি জানায়, শহীদকে প্রায় ২ মাস আগে থেকে চিনলেও চলতি মাসের ১৬-১৭ তারিখে তার সাথে সখ্য গড়ে ওঠে।
ওইদিন শহীদ তাকে খেলতে যাওয়ার কথা বলে। সেও তাদের বাসায় যায় এবং বাসার ছাদে ব্যডমিন্টন খেলে।
গত ২০ ডিসেম্বর শহীদ তাকে বলে, ইসলামের পথে আস। এ পথে আসলে মানুষ মেরে ফেলতে হবে।
সে যখন বলে, মানুষ মারতে হবে এটা আবার কোন ইসলাম। জবাবে শহীদের বক্তব্য ছিলো, ‘এ পথে না আসলে তুমিই তোমার জীবন রাখতে পারবা না। ’
বাসায় যতবারই গেছে ততবারই দুইজন মহিলা ও ওবায়দুল (১০) নামে এক ছেলেকে দেখেছে বলে জানায় কিশোর ছেলেটি।
সে বলে, শহীদ আমাকে বাসার ভেতরে পিস্তল দিয়ে গুলি করে দেখাত। বলত পিস্তল চালাইতে পারি। পিস্তল বোমা তৈরি করবা নাকি? এ পিস্তল নিয়া আমরা জিহাদে যাব।
ছেলেটি জানায়, শহীদের সাথে শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) একসাথে বাসার সামনে জুমার নামাজ পড়তেও যায়।
সে আরও জানায়, তাদের বাসায় গেলে নুডুলস ও বিস্কুট খেতে দিত। শহীদ খেলার মাঝে খুব রাগ করত, রেগে গিয়ে ছাদ থেকে ফেলে মেরে ফেলার হুমকি দিত।
শহীদ তাকে মোবাইলে ও নিজের মুখে ইসলামের গান শুনাত। মাঝে মধ্যে শহীদদের বাসায় সাদা রঙের প্রাইভেটকার আসতো।
বাংলাদেশ সময় ১৩০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৬
এমএমকে