বগুড়া: দর্শকস্রোতার পদভারে মুখরিত পুরো মিলনায়তন। সন্ধ্যা পেরিয়ে এসেছে রাতের অন্ধকার।
সবেমাত্র সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে। মঞ্চে আগত এক ঝাঁক শিল্পী। শুরু হয় নৃত্য পরিবেশন। নৃত্য করেন ওড়িশি নৃত্য শিল্পী সঙ্গীতা দাস ও পন্ডিচরি মীর ড্যান্স একাডেমির শিল্পীরা। এ সময় করতালির মাধ্যমে শিল্পীদের উৎসাহ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠান সূচির পালায় চলে আসে নাটক মঞ্চায়ন। স্বামী বিবেকানন্দ অবলম্বনে ‘পরিব্রাজক স্বামী বিবেকানন্দ’ নাটক মঞ্চায়ন করা হয়।
স্বামী বিবেকানন্দের পরিব্রাজক জীবনের অধ্যায় নিয়ে রচিত এই নাটক। পায়ে হেঁটে তিনি কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী এবং ভারতের প্রতিটি অঞ্চলে গিয়ে দীনতম কুটির থেকে বিত্তশালী প্রভাবশালী রাজার বৈভব প্রাচুর্য দেখেছেন। নাটকের মর্মবানী পৃথিবী যখন দুঃখে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে তখন মানবতার বাণী কেন চুপ করে থাকবে।
শনিবার (২৪ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে মনোমুগ্ধকর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শ্রীঅরবিন্দ সোস্যাল ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ভারতের বাংলার শিউড়ীর শ্রীঅরবিন্দ অনুশীলন কেন্দ্র ও শ্রীঅরবিন্দ মিউজিক কলেজের পরিবেশনায় চলে এ অনুষ্ঠানমালা। সবমিলিয়ে অভিনয়-নৃত্যে মাতোয়ারা ছিলেন দর্শকস্রোতা।
নাটক ও ওড়িশি নৃত্য পরিবেশনার আগে শ্রীঅরবিন্দ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. বিপুল চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক কাঞ্চন কুমার অধিকারী দর্শকশ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।
নাটকের গ্রন্থনা নাট্যরূপ ও সঙ্গীত রচনা করেছেন ডা. জগন্ময় বন্দোপাধ্যায়। অতিরিক্ত সঙ্গীতে ছিলেন- স্বামী বিবেকানন্দ ও সন্ত সুরদাস। সঙ্গীত পরিবেশন করেন কৈশিকী চক্রবর্ত্তী, অনুপ ঘোষাল, বিদ্যুৎ ঘোষ,সোমা দাস, বিভাস চট্টোপাধ্যায়।
শেষে ভারতীয় অতিথি নাট্য শিল্পী ও নাট্যকারদের হাতে সন্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৬
এমবিএইচ/বিএস