রংপুর: রংপুর তিস্তা চরের কৃষকরা এবারও ক্ষতিকর তামাক ছেড়ে তুলা চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়েছেন।
এতে শ্রম ও উৎপাদন খরচ কম হয়।
জেলায় প্রায় ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে তুলা চাষ হচ্ছে। উৎপাদিত তুলা বিক্রি করে ভালো লাভ পেয়ে এবার বেশি করে হাইব্রিড জাতের তুলা আবাদ করেছেন কৃষকরা। তিস্তা চরের কৃষক নুরুল ইসলাম দাজু বাংলানিউজকে জানান, গত বছর থেকে তুলা আবাদ করছি, ভালো দাম পাওয়া যায়। এ বছরও ৩০ বিঘা জমিতে এ চাষ করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। আশা করছি, ভালো দামে বিক্রি করা যাবে।
সরকার যদি কৃষকদের কৃষি লোন বেশি করে দিতো, তবে আরও তুলার চাষ বেড়ে যেতো বলে যোগ করেন তিনি।
তিস্তা চরে তুলা চাষ হওয়ায় শ্রমিকরা প্রতিদিন কাজ পাচ্ছেন। আর এ কাজ পেয়ে অভাবী সংসার চলছে স্বচ্ছলতার সঙ্গে। তুলা আবাদ আট মাসের ফসল তাই প্রতি মাসে কাজ করতে হচ্ছে। পাশাপাশি বাজার ও দামের নিশ্চয়তা থাকায় কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছে বলে জানিয়েছে তুলা উন্নয়ন বোর্ড।
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রেজাউল আমিন জানান, রংপুরে এ বছর প্রায় ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে তুলা আবাদ হয়েছে। ৫শ ২০ প্রজাতির তুলার চাষ হয়ে থাকে। যেসব চাষিরা জমিতে তুলা আবাদ করছেন, তাদের সবসময় সঠিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কীভাবে এ তুলা চাষ করলে পোকার উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে, মাঠ দিবসে তুলা উন্নয়ন বোর্ড রংপুর থেকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়। ফলে ভালো ফলন হওয়ায় তুলা চাষের উপর চাহিদা বেড়ে গেছে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬
এএটি/এসএনএস