ঢাকা: সান্তা ক্লজের কাছ থেকে পাওয়া চকলেট আর উপহারের ছড়াছড়ি। সঙ্গে গান, ছবি আঁকা, ম্যাজিক শো আর অফুরন্ত আড্ডা।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই হোটেলগুলোতে শুরু হয়েছে এ উৎসব। তবে এ আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে শিশুরা। সান্তা ক্লজকে ঘিরে নানা কৌতুক আর আনন্দে মেতে উঠেছে তারা। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি এ উৎসবে যোগ দিয়েছে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও। রয়েছেন বিদেশি অতিথিরাও।
সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর সোনারগাঁও, র্যাডিসন, ওয়েস্টিন ও লা মেরিডিয়ানে বড়দিন উদযাপন শুরু হয়েছে। এ উৎসব উপলক্ষে বিশেষ সাজে সেজেছে হোটেলগুলো। রয়েছে ক্রিসমাস ট্রি, সান্তা ক্লজের গাড়ি, বেলুন, খেলনাসহ নানা রঙিন আয়োজন। আছে নানারকম খেলাধুলা ও হরেক রকম খাবারেরও আয়োজন।
হোটেল লা মেরিডিয়ান ঢাকার স্কাইলাইন ইনফিনিটি পুলের পাশে সকাল থেকেই দেখা যায় শিশুদের ভিড়। যাদু প্রদর্শন, খেলাধুলা আর ফেস পেইন্টিংয়ে মেতে ওঠার দিকে শিশুদের দারুণ আগ্রহ দেখা যায়। সান্তা ক্লজও উপস্থিত ছিলেন ব্যাগ ভরা উপহার নিয়ে। শিশুদের জন্য থরে থরে সাজানো ছিল তার হটডগ, চকলেট ফাউন্টেন, চিজবল, পিজ্জা, বার্গার, নাগেটস, পটেটো ওয়েজেসসহ নানা খাবার। দুই সন্তানকে নিয়ে বড়দিন উদযাপনে আসা মা কুইন বাংলানিউজকে বলেন, “আজ সবচেয়ে বড় উৎসবের দিন। এই দিনে বাচ্চারা মজা করতে চায়। ওদের সে সুযোগ করে দিতেই এখানে আসা। সকাল থেকেই খেলাধুলা আর আড্ডায় মেতে উঠেছে ওরা। ”
ম্যাজিক শো-তে মেতে ওঠা কিশোর নাজিব ইবনে জালাল বলে, “এখানে সকাল থেকেই বন্ধুদের সঙ্গে এসেছি। মাও সঙ্গে আছেন। আমরা সান্তা ক্লজ থেকে চকলেটসহ কয়েক প্রকার গিফট পেলাম। এটা খুব মজার ছিল। এ ছাড়া বসকেট বল হপিং, ক্যানটসিং, বোটল রিং টসিং, বল থ্রোয়িংও খেলেছি আমরা। ”বাচ্চাদের খেলাধুলার মাঝেই হুট করে সান্তা ক্লজ এসে তাদের মজায় মাতিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন। লা মেরিডিয়ানে হংকং থেকে আসা এমনই সান্তা ক্লজ অ্যাব্বে বাংলানিউজকে বলেন, “সকাল থেকেই নাচ গান আর উৎসবের মধ্য দিয়ে এখানে আসা শিশুরা বড় দিনের আয়োজনে মেতে উঠেছে। আমরাও ভীষণ উপভোগ করছি। বাচ্চারা আমাদের সান্তা ভেবে আবদার করছে, সেসব আবদার মেটানোর চেষ্টাও করছি। কারণ, এই দিনটির জন্য ওরা সারাবছরের অপক্ষোয় থাকে। ”
অ্যাব্বের সহকর্মী চিম্মি বলেন, “বাচ্চাদের আনন্দ দিয়েই আমি মজা পাই। ” প্রথমবারের মত বাংলাদেশে বড়দিন উদযাপন করা হংকংয়ের এই নারী বলেন, “বাংলাদেশের সব ধর্মের মানুষ এই অনুষ্ঠান উদযাপনে এসেছে। এটা আমার কাছে সত্যি বিস্ময়। ”
বড়দিনের এই অনুষ্ঠান আয়োজকের পক্ষ থেকে শায়লা নাজনীন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, “ক্রিসমাস মানেই উপহার নেওয়ার দিন, মনভরে চকলেট কিংবা পেটপুরে পছন্দের খাবার খাওয়ার দিন। সেকথা মাথায় রেখে ব্যাগ ভরা উপহার আর ফুর্তিভরা বিনোদন সঙ্গী করে লা মেরিডিয়ান ঢাকায় ক্রিসমাস পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। ”
তিনি জানান, শিশুদের এখানকার পার্টিতে অংশ নিতে জনপ্রতি ১৫০০ টাকার পাশাপাশি ল্যাটেস্ট রেসিপিতে অতিথিদের জন্য ক্রিসমাস ফ্যামিলি ব্রাঞ্চ বুফের আয়োজন রয়েছে। জনপ্রতি ৩৬০০ টাকা খরচে অতিথিরা এই অফারের স্বাদ নিতে পারবেন। এছাড়া বড়দিনের অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা এই কুপন দেখালে ২৫ ডিসেম্বর থেকে আগামী ৪ জানুয়ারি বুফে লাঞ্চ বা ডিনারের ওপর ২৫ শতাংশ ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬
জেপি/এইচএ/
আরও পড়ুন
** শুভ বড়দিন: সম্প্রীতির সুমহান ঐতিহ্য আরও সুদৃঢ় হোক