আশুলিয়া, সাভার: ‘আমাদের কারখানার কোনো ক্ষতি আমরা চাইনা, আমরা শান্তি চাই’ মুখে হাসি নিয়ে এসব কথা বলেন ফাউন্টেন গার্মেন্টেসের জুনিয়র অপারেটর সেরেকা বেগম।
সেরেকা বেগম আরও বলেন, ‘এই পাঁচ দিন বসে থাকতে ভালো লাগে নাই।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে কারখানায় প্রবেশকালে সেরেকা বেগম বাংলানিউজকে এসব কথা বলেন।
একই কারখানার অপারেটর সুমা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, কতদিন হলো কারখানায় আসি নাই। বাসায় বসে থাকতে ভালো লাগে না। আমরা আন্দোলন করলে আমাদেরই ক্ষতি। আমরা যদি কাজ না করি মালিক বেতন দিবে কিভাবে। আমরা এ আন্দোলন চাই না। সরকারের পক্ষ থেকে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হোক যেন এই সমস্যার সৃষ্টি না হয়।
ফাউন্টেন গার্মেন্টেসের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, শ্রমিকরা কাজে ফিরে এসেছে এটা অব্যশই ভালো সংবাদ। তাদের ফিরে আসাটা প্রমাণ করে দিয়েছে শ্রমিকরা কাজ ভালবাসে, আন্দোলন না। এতে ষড়যন্ত্রের পরাজয় হয়েছে। যে শ্রমিকরা ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়েছিল তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এসব অযৌক্তিক আন্দোলন শ্রমিক-মালিক ও দেশের জন্য ক্ষতিকর।
তিনি আরও জানান, আইনশৃঙ্গলা বাহিনীকে ধন্যবাদ। তাদের কঠোর অবস্থান ও পরিশ্রমের কারণে শ্রমিকরা কাজে ফিরে আসতে পেরেছেন।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিজিএমইকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ৫৫টি বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে ১২ ডিসেম্বর থেকে বিভিন্ন কারখানায় বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ ১৬ দফায় পূরণের জন্য কর্মবিরতি পালন করে। তারপর থেকে আইনশৃঙ্গলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানে পরিস্থিতি শান্ত হওয়া শুরু করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৬
এনটি